রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিজানুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে নিহত নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে মিজানুরের নিজ গ্রাম কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভেলানগরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা একটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মিজানুরের লাশ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া মাঠে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নেয়া হয় তার গ্রাম ভেলানগরে।
মিজানুরের মৃতদেহ নিজ গ্রামে নেওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের ১৫ মিনিটের জন্য লাশ দেখতে দেওয়া হয়। এ সময় মিজানুরের স্ত্রী শামীমা আক্তার, চার মেয়ে ও বৃদ্ধা মা রাবেয়া খাতুনসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা ও জানাজা শেষে বেলা দুইটার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় সেখানে বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ মিজানুর রহমানের জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এর আগে সকাল নয়টা ১০ মিনিটে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে মিজানুরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যদের ওপর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান মারা যান। তার লাশ বিজিপি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
দুই দিন ধরে উত্তেজনা চলার পর শনিবার বিকেলে মিজানুরের লাশ ফেরত দেয় মিয়ানমার।