ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আয় ৩৮শ’ কোটি টাকা

 Brazilফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে জমকালো বিশ্বকাপ আয়োজনে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জার্সি রপ্তানী করে আয় করেছে ৩৮শ’ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এঙপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিভিন্ন দেশের জার্সি বানিয়ে অন্তত ৫০ কোটি ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। যার ফলে চলতি বছর তৈরিপোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশে পৌঁছবে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ১০০টি কারখানা বিশ্বকাপ ফ্যানদের জার্সি তৈরি করছেন। বিশ্বকাপ-সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য ঠিক কত হচ্ছে, তা আমরা বলতে পারছি না। তবে এই পরিমাণ ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটি ডলার হতে পারে।
হাতেম বলেন, চলতি মাসে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরিপোশাক রপ্তানি রেকর্ড আড়াই হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে। গত বছরের তুলনায় তা ৩০০ কোটি ডলার বেশি। তিনি বলেন, এর একটা বড় অংশই এসেছে বিশ্বকাপ বাণিজ্য থেকে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে পুমা ও অ্যাডিডাসের মতো বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরি হয়। এছাড়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের প্রায় সবগুলোর ফ্যানদের জন্য জার্সি তৈরি হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার স্বল্প-ব্যয়ের সুখ্যাতির কারণে।
চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরিপোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই খাত থেকেই দেশের ৮০ ভাগ বার্ষিক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর এতে নিয়োজিত রয়েছেন ৪০ লাখের বেশি লোক। হাতেম বলেন, তার কারখানাতেই কেবল জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি ও পর্তুগালের মতো দেশের আড়াই লাখ জার্সি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button