হবিগঞ্জে ২ শতাধিক রকেট লাঞ্চারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরবর্তী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি গভীর অরণ্য থেকে দুই শতাধিক রকেট লাঞ্চার, ট্যাংক বিধ্বংসী বিস্ফোরক, দুই শতাধিক মর্টার সেল, রকেট লাঞ্চারের চার্জার, অয়েলসহ বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব-৯। এসময় ৭টি বাঙ্কারের সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কারা এসব অস্ত্র মজুত করেছে, তা জানা যায়নি।
রোববার গভীর রাত থেকে র্যাব-৯-এর সদস্যরা সাতছড়ি গভীর অরন্যে অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার ১১টার দিকে র্যাব ঢাকা অফিসের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টর যোগে ঘটনাস্থলে এসে অভিযান জোরদার করেন। গভীর অরন্যে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরো দুই দিন চলবে বলে র্যাব সূত্র জানিয়েছে।
র্যারের পরিচালক (লিগ্যাল এন্ড উইং) উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রোববার রাত থেকে র্যাব-৯ সাতছড়ির গভীর অরন্যে অভিযান চালায়।
র্যাব ওই এলাকায় দুটি টিলার একটিতে দুটি এবং অপরটিতে পাঁচটি বাঙ্কারের (কূপ) সন্ধান পায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একটি বাঙ্কার থেকে দুই শতাধিক রকেট লাঞ্চার, শতাধিক মর্টার সেল, রকেট লাঞ্চার এর চার্জার, অয়েলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে।
উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান আরো জানান, র্যাবের নেটওয়ার্ক সিগনালে ওই বাঙ্কারগুলোতেও অস্ত্র থাকার সঙ্কেত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে এক তৃতীয়াংশ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্রও উদ্ধার করা হবে।
তিনি জানান, অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আরো দুই দিন ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলবে।
কারা বাঙ্কারগুলোতে অস্ত্রের মজুদ করেছে- এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্ণেল জিয়াউল আহসান ও র্যাব-৯-এর কমান্ডিং অফিসার মুফতি মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে এক ট্রাক অস্ত্র পাওয়া যায়। যার সঙ্গে সাতছড়ি ত্রিপুড়া পল্লীর তৎকালীন হ্যাডম্যান যোগেশ বর্মার ভাতিজা আশীষ বর্মার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে আশীষ বর্মা পলাতক রয়েছেন।