বিশ্ব নিরাপত্তা উন্নয়নে ন্যামের প্রতি সৌদীর আহ্বান
বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা উন্নয়নে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) কার্যকর ভূমিকা পালন করছে কিনা তা যাচাই করে দেখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদী মন্ত্রিপরিষদ।
গত সোমবার জেদ্দার আল-সালাম প্যালেসে পবিত্র মসজিদদ্বয়ের সহকারী খাদেম যুবরাজ সালমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ অহ্বান জানানো হয়।
আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যামের ১৭তম সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে সৌদি আরব তাদের এই মনোভাবের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। তথ্য ও সাংস্কৃতিমন্ত্রী আব্দুল আজিজ খোজা এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমন্বয় গঠিত হয়েছে ন্যাম। সেসব দেশের সমন্বয় ন্যাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে যারা বিশ্বের বৃহৎ শক্তির সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত নয় অথবা বিপক্ষেও নয়। ২০১২ সালে ন্যামের সদস্য সংখ্যা ছিল ১২০ এবং পর্যবেক্ষক দেশের সংখ্যা ছিল ১৭ টি।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পূর্ব জেরুসালেমে ইহুদী মন্দির নির্মাণ এবং মাউন্ট আবু ঘানেম বসতিতে নতুন করে আরো ৫০ টি আবাসিক ইউনিট নির্মাণেরও নিন্দা জানানো হয়। খোঁজা আরো বলেন, পারস্পরিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনার সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষ্যে কিং আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টার-রিলেজিয়াস অ্যান্ড ইন্টার-কালচারাল ডায়ালগ এবং ইউনেস্কোর মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির প্রশংসা করেন মন্ত্রিপরিষদ। যুবরাজ সালমান মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পবিত্র মসজিদ দ্বয়ের খাদেম সৌদী বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং মরোক্কোর বাদশাহ মুহাম্মদ-৬ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেন। এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও উন্নত করা এবং সর্বশেষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রিপরিষদ যুবরাজ সালমানকে কমোরো প্রজাতন্ত্রের সাথে একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করার দায়িত্ব অর্পণ করেন।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সৌদি আরব ও গ্যাবন প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সাধারণ সমঝোতা চুক্তি অনুমোদন করেন। দুই দেশের মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায় অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারী রিয়াদে ঐ চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছিল। এছাড়া সমুদ্র পরিবহন খাত উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা ও একটি খসড়া চুক্তি সম্পাদনে পরিবহন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।