ইউরোপকে নিরাপত্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের মাস্টারপ্ল্যান
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আবারও নতুন করে যুদ্ধ তীব্রতা পেতে যাচ্ছে। আর এ ব্যাপারটিকে সামনে রেখে পরবর্তী নীতি নির্ধারণী সমরসিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের ঐ অংশে সেনা সহায়তা পাঠাতে যাচ্ছে দেশটি। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর সপক্ষে তার যুক্তি, রাশিয়ার আগ্রাসী আচরণের বিপরীতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইউক্রেনীয় পক্ষের পেশিতে নতুন মাংস যোগ করবে মার্কিন সেনা সহায়তা। বাড়তি শক্তির সাহায্যে নিজেদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে পাল্টা আক্রমণ করতে পারবে ইউক্রেন। ইউক্রেনে সেনাসহায়তার পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় মার্কিন আকাশ-জল-স্থলসেনা আরও বাড়াতে এবং তাদের জন্যে অধিক উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পর্যাপ্ত অর্থসংকুলানের জন্যে কংগ্রেসে কথা তুলতে যাচ্ছেন ওবামা। তিনি জানান, জর্জিয়া-মলডোভা-ইউক্রেন সীমান্তের মতো রাশিয়া ঘেঁষা স্থানগুলোতে এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সুবিধাজনক স্থানে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যে মার্কিন সেনা সমাবেশ ঘটবে। এখনও পর্যন্ত এর জন্যে বেছে নেয়া হয়েছে কৃষ্ণ ও বাল্টিক সাগরকে। উল্লেখ্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা চারদিনের ইউরোপ সফরে বেরিয়ে এ মুহূর্তে পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি জেনেছেন, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া প্রদেশ অধিগ্রহণের পর রাশিয়ার প্রভাববলয়ে যে সকল দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। বারাক ওবামা দেশসমূহের এ ভীতি দূর করতে চান। এ লক্ষ্যে বিশেষ বিবৃতিও প্রদান করেছেন তিনি, যেখানে বলেছেন, ‘ইউরোপের নিরাপত্তা আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি যেহেতু, সেহেতু তা রক্ষা করা আমাদের অলঙ্ঘনীয় দায়িত্ব। বিশেষত এমন মুহূর্তে।’