সৌদি বাদশাহর শুভেচ্ছা
মিসরে সিসিকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা
মিসরের নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক সেনা প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। কমিশন বলেছে, সিসি ৯৬.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী নেতা হামদিন সাবাহি পেয়েছেন মাত্র ৩.১ শতাংশ ভোট।
কায়রোতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে যখন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়, তখন কিছু সাংবাদিক ও সরকারী কর্মকর্তাকে করতালিতে ফেটে পড়তে দেখা যায়। অনেকেই এসময় নাচতে শুরু করেন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অর্ধেকেরও কম ভোটার অংশ নেয়। জয়লাভ করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে আল সিসি দেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
গত বছর জুলাই মাসে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সাবেক সেনাপ্রধান সিসি।
এছাড়া ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতনের আন্দোলনে যোগ দেয়া অনেক উদারপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনকারীরাও নাগরিক অধিকার হরণ করার অভিযোগ তুলে এই নির্বাচন বর্জন করে। তিন দিনব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৭.৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সিসি’র জয়লাভের ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তিনি হলেন সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ।
সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিসি’র একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হামদিন সাবাহি। এ প্রার্থীও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার নির্বাচনী প্রচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। সাবাহির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ওপর হামলা করা ছাড়াও বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৬ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণে ভোটগ্রহণের সময় এক দিন বাড়ানো হয়।