সৌদিতে পরিবার নিতে পারবে প্রবাসীরা

SAসৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাসের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে প্রবাসীদের পরিবারের ঘনিষ্ট সদস্যরা বিশেষ কিছু শর্তে ভ্রমণ ভিসাকে স্থায়ীভাবে আবাসিক ভিসায় রূপান্তর করতে পারবে। ঘনিষ্ঠ সদস্য বলতে, প্রবাসীর (নারী-পুরম্নষ) ছেলেমেয়ে ও বয়স্ড়্গ মা-বাবা, শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে বুঝানো হয়েছে।
দেশটির পাসপোর্ট অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেখানকার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘আরব নিউজ’ এ তথ্য দিয়েছে। তবে সংবাদে বিশেষ শর্তগুলোর কথা উলেস্নখ করা হয়নি।
বুধবার আরব নিউজ আয়োজিত দুই ঘণ্টার একটি ‘ফোন কল’ অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দেশটির পাসপোর্ট বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ আল-হুসাইন। এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হ্যা, এটি সম্ভব। তবে বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘আগে প্রবাসীদের মা-বাবার জন্য ইকামার অনুমোদন ছিল। বর্তমানে মা-বাবার পাশাপাশি ছেলেমেয়ে ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির জন্যও অনুমোদ দেয়া হয়েছে’।
এসময় রিয়াদ থেকে ফোন কলে অংশ একব্যক্তি প্রশ্ন করেন তার স্ত্রী বর্তমানে ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, তিনি এটিকে স্থায়ী আবাসিক ভিসা কিংবা ইকামায় রূপান্তôর করতে পারবে কি না?
জবাবে সৌদি পাসপোর্ট অফিসের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-হুসাইন ওই প্রবাসীকে দেশটির আবাসন নিয়মনীতিগুলো জেনে নিতে ও তা মেনে চলতে বলেন।
যেসব ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেগুলোর ড়্গেত্রে করণীয় এবং নতুন করে ভিসা এন্ট্রি করতে হবে কি না সে সম্পর্কে একজন কলার জানতে চাইলে আল-হুসাইন বলেন, ‘এখন সব তথ্যই অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসার ক্ষেত্রে নতুন করে তথ্য বা কাগজপত্র দিতে হবে না। যেহেতু এ সংক্রান্ত আগেই ইমিগ্রেশন অফিসে রয়েছে, তাই শুধুমাত্র ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিলেই চলবে’।
এসময় পাকিস্তানি ওই কলার দুই ধরনের অনলাইন সেবার কথা উলেস্নখ করেন। সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আবশির। যা ১০০ এর নিচে কর্মী রয়েছে এমন কোম্পানির জন্য। আরেকটি হচ্ছে মুক্বীম। যা ১০০ এর বেশি কর্মী রয়েছে এমন কোম্পানির জন্য।
পাকিস্থানি ওই কলার পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তা আল-হুসাইনকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়ন কিংবা পুনরায় এন্ট্রির ড়্গেত্রে পাকিস্থান বিমানবন্দরে মুক্বীম সেবার আওতায় নেওয়া হয়। কিন্তু এই সেবা আবশির সেবার আওতায় পাওয়া খুবই কঠিন ও জটিল।
পাকিস্থানি ওই প্রবাসী কলার আরো বলেন, যদি এক্ষেত্রে সৌদি ইমিগ্রেশন অফিসে কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন না হয় তাহলে তো পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার পর পুনরায় তথ্যাদি দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আমি যখন ইসলামাবাদে গিয়েছিলাম তখন তারা আমার কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়নের তথ্য জমা দিতে বলেছিল। তাহলে এটা কেন?’
এর জবাবে আল-হুসাইন বলেন, ‘অন্য দেশের কথা আমি বলতে পারবো না। তবে আমাদের দেশে পুনরায় তথ্যাদি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, অনলাইনে সব তথ্যাদি রয়েই গেছে। এড়্গেত্রে আপনার পাসপোর্টই যথেষ্ট’।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘যে সকল প্রবাসীদের বাবা-মা’র বয়স ৬০ কিংবা তার বেশি হয়েছে এবং তাদেরকে দেখাশুনা করার মতো কেউ নেই। এক্ষেত্রে ওই প্রবাসীরা পাসপোর্ট অফিসের কানুন এন্ড তাদরি (লিগ্যাল এন্ড স্টাডি) বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন। পাসপোর্ট বিভাগ এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী তারা যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত নেবে’।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button