ফ্রান্সে ডি-ডে বার্ষিকী উদযাপন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের মূল ভূখন্ডে স্থল অভিযান শুরুর ৭০তম বার্ষিকী ছিল ৬ জুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ফ্রান্সে ১৯টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের উপস্থিতিতে ডি-ডে বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
স্মরণীয় এই দিনটিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকার মধ্যে এক বৈঠক হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁল্যাদের মধ্যস্থতায় এই বৈঠকটি হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসী বাহিনীর হাতে নিহত সৈন্যদের শ্রদ্ধা জানাতে ফ্রান্সে একত্রিত হয়েছিলেন বিশ্বের প্রায় ১৯টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান এবং সেনাবাহিনীর কয়েকশ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক।
ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে ডি-ডের অনুষ্ঠানে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁল্যাদ ঐতিহাসিক এই জায়গাটিকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন, নাৎসী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার যৌথ বাহিনীর সদস্য ফ্রান্সে অবতরণ করেন। দিন শেষে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার সৈন্য মারা যান, যা বিশ্বের সেনা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
ফ্রান্সের নরম্যান্ডির উপকূলে ডি-ডে নামে খ্যাত ওই অভিযানের মধ্যে দিয়ে নাৎসী জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ের সূচনা হয়।
ডি-ডের নানা রকমের আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি সবারই নজর ছিল এই অনুষ্ঠানে আগত বিশ্বের প্রধান দেশগুলোর নেতাদের পরস্পরের সঙ্গে করা বৈঠকগুলো দিকে।
ওই সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁল্যাদের মধ্যস্থতায় ১৫ মিনিটের এক বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকো। উভয় নেতার মধ্যে এ প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হলো।
অনানুষ্ঠানিক ওই কথাবার্তার পর ফরাসী এবং রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই নেতাই পূর্ব ইউক্রেনে রক্তপাত এবং লড়াই বন্ধের জন্য দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি করার জন্য আলোচনা শুরু করতে একমত হয়েছেন। ইউক্রেন সংকটের অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়। এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গেও আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।