ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান নির্বাচন নিয়ে বিভক্ত ইইউ
ইউরোপীয় কমিশনের নতুন প্রধান নির্বাচন প্রসঙ্গে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ইউরোপীয় কমিশনে পরবর্তী প্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যত নির্ধারণে ব্রিটেন, জার্মানী, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনের নেতৃবৃন্দ স্টকহোমের কাছের কোনো শহরে বৈঠক করছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এই চার দেশের নেতৃবৃন্দই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার চান। তারা চান এমন একটি ইউনিয়ন যেটি আরো বেশি উদার, প্রতিযোগিতামূলক এবং নমনীয় হবে। কিন্তু তার ভাষায় মোটেই অযাচিত হস্তক্ষেপমূলক হবে না।
আর এই সব বিষয়গুলো কে ইউরোপীয় কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন তার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেন ডেভিড ক্যামেরন।
ইউরোপীয় কমিশনের পরবর্তী প্রধান হিসেবে লুঙ্মেবার্গের জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারকে ইতোমধ্যেই সমর্থন দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মের্কেল। বাকি তিনটি দেশই ইয়োঙ্কারের প্রার্থিতার বিরোধিতা করছে।
দুদিন আলোচনার প্রথম দিনে মূলত ইউরোপীয় কমিশনের পরবর্তী প্রধান কে হবেন সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
কমিশনের পরবর্তী প্রধান হিসেবে জোড়ালো হয়ে উঠেছে লুঙ্মেবুর্গ-এর সাবেক প্রধানমন্ত্রী জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারের নাম।
জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারকে সমর্থন দিয়েছেন জার্মানীর চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল। কিন্তু জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারের বিরোধিতা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
ডেভিড ক্যামেরন মনে করছেন, জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কার ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান নির্বাচিত হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব সংস্কার কাজ করতে চায়, যেমন- ইইউভুক্ত দেশেগুলোর নাগরিকদের জন্য নিয়মকানুন সহজ করা এবং কাজের সুযোগ আরো বাড়ানো, এসব অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারকে প্রধান হিসেবে দেখতে চায় না সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসও। তবে জার্মান চ্যালেন্সর সোমবার বলেছেন, ইউরোপীয় কমিশনের নতুন প্রধান নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
মের্কেল বলেছেন, শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন দেয়া হবে এ বিষয়ে এখনো আমরা চারজন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।
গত মে মাসে ইউরোপীয় পালামেন্টে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারের দল। কমিশনের সম্ভাব্য নতুন প্রধানের নামের তালিকায় জ্যঁন ক্লদ ইয়োঙ্কারের পাশাপাশি ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড-এর প্রধানমন্ত্রীর নামও শোনা যাচ্ছে।