যুদ্ধে যৌন সহিংসতা বন্ধে লন্ডনে সম্মেলন শুরু
যুদ্ধ-সংঘাতে যৌন সহিংসতা বা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে মঙ্গলবার লন্ডনে এক বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। মূল শীর্ষ বৈঠকটি শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জলি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ এই শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ উদ্যোক্তা।
সংঘাতে যৌন সহিংসতা বন্ধের বিষয়ে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক আয়োজন। অ্যাঞ্জেলিনা জলি এবং হেগ যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন। বুধবার সংঘাতকালে যৌন সহিংসতার বিচার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সূচিত হবে।
আগামী শুক্রবার এই শীর্ষ বৈঠকের সমাপনী অধিবেশনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে লন্ডনে আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চার দিনে প্রায় ১২০টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে৷ এসব অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আছে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা, চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি।
অ্যাঞ্জেলিনা জলির পরিচালিত ছবি ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানির বিশেষ প্রদর্শনী এবং ছবির ওপর প্রশ্নোত্তরসহ আলোচনাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুদ্ধ-সংঘাতের সময় ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার নারী-শিশু ও পুরুষদের যন্ত্রণা এবং দুর্ভোগ তুলে ধরার পাশাপাশি এগুলো বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হচ্ছে এর লক্ষ্য। এ উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে ‘টাইম টু অ্যাক্ট‘ হ্যাশট্যাগ প্রচারাভিযান চালু করা হয়েছে।