তিন বছরে বিমানের লোকসান ১ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশের বিমানের ধারাবাহিক লোকসানের হিসাব তুলে ধরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘২০১২-১৩ অর্থবছরে সংস্থাটির লোকসান ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এটা ২০১১-১২ অর্থ বছরে ছিলো ৫৯৪ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিলো ২২৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। গত তিন বছরে বিমানের মোট লোকসান হয়েছে ১,০০৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
সোমবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে সদস্য শরীফ আহমেদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ১০টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে কলকাতা, দিল্লি, ইয়াংগুন, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হংকং, কুয়ালামপুর, কাঠমুন্ডু, দুবাই, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, কুয়েত, রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, রোম, ফ্রাংকফুর্ট ও লন্ডন এই ১৯টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।’
এম আবদুল লাতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমানকে লাভজনক করার লক্ষ্যে নানাবিদ পদক্ষেপ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিমানের লোকসানের কারণগুলো হলো, বিমানের জ্বালানী খরচ মোট পরিচালনা ব্যয়ের প্রায় ৪৮ ভাগ। বিমানের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ৪৫ ভাগ বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং এই তেলে খরচ বিদেশের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি।
মেনন বলেন, বিমান বহরে নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের ফলে ২০১১-১২ অর্থবছরে ১১২ কোটি ৮৬ লাখ এবং ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ১৮৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অপচয় খরচ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নতুন উড়োজাহাজ সংগ্রহের জন্য ঋণ গ্রহণের ফলে সুদ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। লিজ উড়োজাহাজের মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনার লিজ রেন্ট বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারায় বিমানে লোকসান হচ্ছে।’
গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সারাদেশে মোট ৩৬টি হোটেল, মোটল, রেস্তোরাঁ ও বার রয়েছে। এসব হোটেল, মোটেল বর্তমানে লাভজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই খাত থেকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন লাভ করেছে ৬ কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।’