বিক্ষোভ ঠেকাতে পানি কামান : বিপাকে লন্ডনের মেয়র

Londonলন্ডনের মেয়র বরিস জনসন দুই লাখ ১৮ হাজার পাউন্ড ব্যয়ে তিনটি পানি কামান কেনার যে  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন গ্রীষ্মে ব্যয় হ্রাস বিরোধী সম্ভাব্য বিক্ষোভ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে জার্মানি থেকে এ সব পানি কামান কেনা হয়েছে।
আয়ারল্যান্ডে বিক্ষোভ দমনের জন্য এ জাতীয় পানি কামান ব্যবহার করা হলেও এর আগে ব্রিটিশ পুলিশ কখনো এই কামান ব্যবহার করে নি। অবশ্য  ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে পানি কামান ব্যবহার করা যাবে না।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আগেই বিপুল ব্যয়ে এ সব পানি কামান কেনার তীব্র সমালোচনা করেছেন গ্রিন পার্টির প্রধান জেনি জোন্স। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ ব্রিটিশ নাগরিক লন্ডনে পানি কামানের প্রয়োগ দেখতে চায় না। মেয়র যদি জরিপ চালাতেন তাহলে দেখতে পেতেন লন্ডনের ৯৮ শতাংশ মানুষই পানি কামানের ব্যবহার চায় না।
এর আগে চলতি বছরের গোড়ার দিকে লন্ডনের সব রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে পানি কামান কেনার একটি উদ্যোগ বানচাল হয়ে যায়। অবশ্য মেয়র বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছেন লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার বার্নাড হগ্যান-হাও।  পানি কামান খুব কমই ব্যবহার করা হবে বলে তিনি দাবি করেন।
১৯৩০-এর দশকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য  প্রথম পানি কামান ব্যবহার করেছিল জার্মান পুলিশ। এরপর একে একে বিশ্বের অনেক দেশই এ কামান ব্যবহার শুরু করে। ব্রিটেন যে পানি কামান কিনেছে তা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ লিটার পানি ছোঁড়া যাবে। এ পানির তীব্র তোড়ে বিক্ষোভকারীরা ন্যাকড়ার পুতুলের মতো ভেসে যাবে।
বিক্ষোভকারীদের হটানোর জন্য পানি কামানকে নিরাপদ অস্ত্র হিসেবে দাবি করা হলেও এর আঘাতে অঙ্গহানি বিশেষ করে চোখ নষ্ট হওয়ার এমনকি প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button