মসুল থেকে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীরা নেওয়ার পর শহরটি থেকে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও রয়েছে। সপ্তাহব্যাপী সংষর্ঘের পর মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা নিনেভ প্রদেশের রাজধানী মসুল পুরোপুরি দখল করে নেয় জিহাদিস্ট ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লিভ্যান্ট (আইএসআইএল)। তারা প্রদেশটির চারপাশ ঘিরে রেখেছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে মসুল দখলের খবরে আইএসআইএলকে ওই অঞ্চলের জন্য হুমকি মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি জানায় মসুলের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি। যুক্তরাষ্ট্র এই আগ্রাসন মোকাবেলায় ইরাককে সমন্বিতভাবে জোরালো সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, তিনি মসুলের এই পরিস্থিতিতে ‘ভীষণ উদ্বিগ্ন’।
তিনি ইরাকি সরকার ও কুর্দি প্রাদেশিক সরকারকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পরস্পরকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বান কি মুন ইরাকের সব রাজনৈতিক নেতাদের এ জাতীয় হুমকির মুখে সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেবল এ জাতীয় হুমকির জবাব দেয়া সম্ভব বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বান কি মুন।
এ ছাড়া, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ইরাক গঠনে জাতিসংঘ সমর্থন অব্যাহত থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করেন বান কি মুন।