চোখ ধাধানো আয়োজনে ২০তম বিশ্বকাপের উদ্বোধন
বিশ্বকাপবিরোধীদের বিক্ষোভসহ নানান ধরণের বাধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে জমকালো আর চোখ ধাধানো আয়োজনে পর্দা উঠলো ফুটবল বিশ্বকাপের ২০তম আসরের। আলো আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে তারকাদের মনমাতানো পারফর্মেন্সের মধ্যদিয়ে বিশ্বের কোটি দর্শককে মাতিয়ে তোলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বর্ণিল রঙ আর কার্নিভালের ছোঁয়ায় ব্রাজিলের সাও পাওলোর কারিন্থিয়াস স্টেডিয়ামে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টার কিছুক্ষণ পরে বিশ্বকাপের পর্দা উঠানোর পর্ব শুরু হয়। যখন অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক দল শিল্পী ব্রাজিলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সাথে করে মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা নিয়ে আসে। যেন সদ্যই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজান থেকে উঠে এসেছে তারা! কারণ, সবার গায়েই যে তখন স্বল্প আদিবাসী পোশাক। আর মাথায় তৃণ মুকুট।
এর পর বিশেষ রোবোটিক পোশাকে হুইল চেয়ার থেকে উঠে এসে বলে শট করেন এক প্রতিবন্ধী। মিগুয়েল নিকোলেসিস নামের একজন ব্রাজিলীয় চিকিৎসকই উদ্বোধনীতে এই চমক আনেন। বিশ্বের খ্যাতনামা ১৫৬ জন বিজ্ঞানীর সহায়তায় লৌহমানবের মতো বিশেষ এই রোবোটিক পোশাক তৈরি করেন ওই ব্রাজিল চিকিৎসক।
সবশেষে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান ‘ওলে ওলা’র ছন্দে মাতেন জেনিফার লোপেজ, পিটবুল ও ক্লদিয়া লেইতে। এর মাঝে অবশ্য দাঁড়বাজি, ফ্লিম্যাশ শোয়ের চোখ ধাঁধানো উপস্থাপনায় পুরো ব্রাজিলকে ক্রীড়ামোদীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেন বেলজিয়াম অর্টিস্টিক ডিরেক্টর ডাফনে কর্নেজ।
এসব আলোর অ্যাঙ্গেল তৈরির মাধ্যমে একটি বলের প্রতিকৃতি দেখানো হয়। ডাফনো কর্নেজের তত্ত্বাবধানে ছয় শতাধিক অংশগ্রহণকারীর চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় ব্রাজিলের বিখ্যাত খেলোয়াড়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। পপ গান আর সাম্বা নৃত্য মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেণ কোটি কোটি দর্শক।
এখন শুধু নিজেদের পায়ের জাদু দেখাতে প্রস্তুত ৩২টি দেশের ফুটবলাররা। ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪-এর প্রথম খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক দেশ ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়া।
বাংলাদেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরাসরি সমপ্রচার করে বিটিভি, গাজী টিভি ও মাছরাঙা। উদ্বোধনী শেষে বিশ্বকাপের মাঠের লড়াইয়ে শামিল হবে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া।
এই লড়াই চলবে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত একটি দল শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতবে। তো দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কারমুখে শেষ হাসি ফুটে ওঠে। সেই দৃশ্যটা দেখার জন্য আসর শেষ হওয়া অবধি অপেক্ষা করবে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমী।