অর্থনৈতিক মন্দায় ১০ হাজার বেশি আত্মহত্যা

EUইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে স্বাভাবিকের চেয়েও অতিরিক্ত ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকদের এক গবেষণায় বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’র গবেষক দল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ২৪টি ইউরোপীয় দেশের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করেন।
“উল্লেখযোগ্যভাবে আত্মহত্যা বেড়েছে” এই শিরোনামে ব্রিটিশ সাইকিয়াট্রি সাময়িকীতে ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০০৭ পর্যন্ত ইউরোপে আত্মহত্যার নিম্নগামিতা অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের মধ্যেই তা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যা ২০১১ পর্যন্ত বজায় থাকে।
এ ধারা বজায় থাকলে গড়পরতা হিসাবের বাইরে আরো ৭৯৫০ জন আত্মহত্যা করবে বলে আভাস পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা।
কানাডায়ও মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমাগত কমে আসছিল, কিন্তু ২০০৮ সালের সাময়িক আর্থিক মন্দার পর থেকেই তা আবার বাড়তে থাকে।
মন্দার বছর গড় সংখ্যার চেয়েও ২৪০টি বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যা প্রবণতার ঊর্ধ্বগতি বজায় ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হলে আত্মহত্যার প্রবণতা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। মন্দার বছর ৪৭৫০টি অতিরিক্ত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি হারানো, বন্ধকি বাড়ি নিলামে তোলা এবং ঋণগ্রস্ততা ব্যক্তিকে আত্মহত্যার ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়।
তবে মন্দা সত্বেও সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি রোধ করতে পেরেছে।
এসব দেশ চাকরি হারানো মানুষের কাজের ব্যবস্থা করার জন্য বিনিয়োগ করেছে, তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ দেয়ারও ব্যবস্থা নিয়েছে।
এতে আগের তুলনায় কম বেতন পাওয়া সত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা বাড়েনি।
এসব দেশের উদাহরণ টেনে গবেষকদল দাবি করেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এসব মৃত্যুর অনেকগুলোই এড়ানো সম্ভব ছিল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button