বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি খালেদা জিয়ার

মিরপুরের কালশী বিহারি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ এবং বিহারিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনের মর্মাত্মিক মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সাথে ঘটনার বিচার বিভাগীর তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টাত্মমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মানবতার পরিপন্থী কাজ। সন্ত্রাসীরা মানবজাতির শত্রু।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এ হামলাকে কাপুরুষোচিত ও বর্বর হামলা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণকে মানব সভ্যতা ধ্বংসকারী কর্মকান্ড বলে মনে করে।
বেগম জিয়া বলেন, সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই তারা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের সহযোগী হিসেবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শুধুমাত্র বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপরই পৈশাচিক হামলা চালাচ্ছে না, এদের কারণেই সাধারণ নাগরিকরাও ভয়ে ও আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
তিনি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ সকল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
খালেদা জিয়া মিরপুরের এ জীবন বিনাশী রক্তক্ষয়ী কর্মকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনেরও দাবি করেন।
প্রসঙ্গত,  পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে বিহারিদের সঙ্গে পুলিশ ও এলাকাবাসী সংঘর্ষ  অগ্নিকান্ডে বিহারি সমপ্রদায়ের ১১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার ভোরে মিরপুরের কালশী এলাকার বিহারি ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button