জি-৭৭ শীর্ষ সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে দ্য ‘কোমেমোরেটিভ সামিট অব জি-৭৭ এন্ড চায়না’ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনে তিনি বিশ্বে দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচি তুলে ধরবেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ শহরে এই সম্মেলন শুরু হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ইভো মোরালেস আয়মা জি-৭৭’এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জি-৭৭ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ফর এ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ফর লিভিং ওয়েল’।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্মেলনস্থল ফেঙোক্রুজে পৌঁছার পর বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ইভো মোরালেস আয়মা তাকে স্বাগত জানান।
শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়াও ইকুয়েডর, আল সাল ভাদর, প্যারাগুয়ে, পেরু, ভেনিজুয়েলা, উরুগুয়ে, কিউবা, হাইতি শ্যাদ, কোস্টারিকা, ইরান, তাঞ্জানিয়া, জাম্বিয়া, গুয়েনা, ইকুয়েটরিয়াল, গাবন, শ্রীলংকা, ফিজি, দোমেনিকা, নামিবিয়া ও সুইজারল্যান্ডসহ জি-৭৭ ভুক্ত ৩০টিরও বেশি দেশের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে তারা খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচনসহ ধরিত্রী রক্ষার টেকসহ উপায় সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বান কি মুন দারিদ্র্য বিমোচন ও অসমতা দূর এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একযোগে কাজ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য পূরণে ১ হাজার দিনের জোরদার কর্মসূচির মধ্যেই চলতি বছরের এ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ২০১৫ সাল উত্তর টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি অবশ্যই মানবাধিকার ও আইনের শাসন ভিত্তিক এবং ইউএন চার্টার অনুযায়ী হতে হবে।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এ শীর্ষ সম্মেলন জনগণের সেবার ক্ষেত্রে জি৭৭ভুক্ত ১৩৩টি সদস্য রাষ্ট্রের স্বপ্ন পুনরুজ্জীবিত করবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। জনগণের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে এ শীর্ষ সম্মেলন ১৩৩টি রাষ্ট্র ও চীনের স্বপ্নকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এ ছাড়া এ সম্মেলনের মাধ্যমে অনেক প্রেসিডেন্ট তাদের কর্ম ও অভিজ্ঞতা এবং রাজনীতি কোনো ব্যবসা নয় বরং এটি যে ত্যাগ, রাজনীতি মানে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও কর্তৃপক্ষের কোনো সুবিধা না থাকাসহ বিভিন্ন ভাবনা শেয়ার করার সুযোগ পাবেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রবিবার সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।