রমজান ইস্যুতে ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার
পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্র। বিশেষ করে চাল, তেল, ছোলা, ডাল, চিনি, মসলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মাংসের দাম। গত দুদিনে চিনি কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। আগামীতে এ দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা ভোক্তাদের।
সূত্র মতে, কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারক চক্র সিন্ডিকেট করে রমজানের আগেই বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। হাতে গোণা কয়েকটি শীর্ষ কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে ভোজ্যতেলের বাজার। এর মধ্যে তীর, ফ্রেশ, প্রাণ, নুরজাহান, টিকে, রূপচাঁদা যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয় বাজার টিক সেভাবেই চলে। এসব কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর পরে বাকিরা সহসাই সুযোগ পেয়ে বসে। অনুুরূপ ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও মসলা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও মালামাল সংকট দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলসহ যেসব পণ্যে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমদানি হয়েছে অন্তত ৪ থেকে ৬ মাস আগে। সে সুবাধে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। সুযোগ বুঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।
কেজিপ্রতি পেঁয়াজ (আমদানি) ২৮ এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯০, চায়না রসুন (একদানা) ৮০, দেশি আদা ১৬০, শুকনা মরিচ ১৫০, হলুদ ১১০, হলুদের গুঁড়া ১৬০, মরিচের গুঁড়া ২২০, ধনিয়া ৭০, দেশি মশুর ডাল ১৯০, ভারতীয় মশুর ডাল ৮০, খেসারি ডাল ৪৫, মুগ ডাল ১৩০, ছোলা ৬৫, কাঁচা মরিচ ৩২ থেকে ৪০, জিরা (ইরানী) ৪০০ থেকে ৪৫০, এলাচি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৫০০, লবঙ্গ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩২০, খাসির মাংস ৪৫০ থেকে ৪৮০, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫, লেয়ার মুরগি ১৬৫, দেশি মুরগি ২০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিহালি মুরগির ডিম (ফার্ম) ২৮, দেশি হাঁসের ডিম ৪০, মুরগি ৩৪ এবং পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮, নাজির শাইল ৫২, যা পারি চাল ৩৮, ঊনত্রিশ ৪০, আটাশ ৪১ এবং স্বর্ণা ৩৬ টাকায়।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, জাটকা ২৮০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কেজিপ্রতি রুই ৩০০, কাতলা ৩৫০, তেলাপিয়া ১৫০, কৈ (চাষের) ২৪০, সিলভার ১৩০, পাঙ্গাস ১১০, টেংরা ৩৬০, শোল ৩৭০, কাচকি ৩০০ এবং শিং (দেশি) ৬৫০ টাকায়।
কেজিপ্রতি আলু ২৪, শসা ৪০, পটল ৩০, গাজর ৪০, করলা ৫০, ঢেড়স ৩০, চিচিঙ্গা ৪০, পেঁপে ৩০, টমেটো ৬০, বরবতি ৪০, কাকরল ৪০, কাঁচাকলা ৪০, লাউ ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে লালশাক, ডাটা, পুঁইশাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।