নিখোঁজ বিমানের ১০০ দিন
একশ দিন হয়ে গেল, অথচ মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির এখনো সন্ধান মেলেনি। তবে হাল ছাড়েনি মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমানটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অনু্সন্ধান কার্যক্রম চলবে।
গত ৮ই মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান। এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের বিমানটিতে ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীসমেত বিমানটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই চলছে অনুসন্ধান কার্যক্রম। অনেক নাটকীয়তার জন্ম দিলেও অনুসন্ধানের ফল এখনও শূন্য। এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি বিমানটি।
বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার একশ দিন পূর্তিতে সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী হিশাম উদ্দীন হুসেইন জানিয়েছেন বিমান খুঁজে বের করার চেষ্টা চলবে। তিনি বলেন, একশ দিন ধরে বিমানটি নিখোঁজ। এ ক্ষতি মালয়েশিয়ানদের হৃদয়ে এখনো ব্যথা হয়ে আছে। বিমানটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাবো।
গত ৮ই মার্চ থেকে নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি নিয়ে এখন যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, পাইলট কি নিকটবর্তী কোনো স্থানে বিমানটি অবতরণ করাতে চয়েছিলেন? বিমানটি কি অন্য একটি বিমানের রাডার সিগন্যালের আড়ালে চলতে চয়েছিল? বা এটি কি সত্যিই মালদ্বীপ পর্যন্ত উড়ে গিয়েছিল?
নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা শুরু থেকেই অনুসন্ধানে মালয়েশিয়ান সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছেন। অস্ট্রেলিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কিছু দেশ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ফলে নিখোঁজদের স্বজনদের হতাশা বেড়েই চলেছে। তবে মালয়েশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিখোঁজদের স্বজনদের যন্ত্রণা শুধু তাঁদের নয়, সরকারেরও, তাই অনুসন্ধানে কোনো রকমের শৈথিল্য আসার সম্ভাবনা নেই। এ সময় বিমান খুঁজে বের করার কাজে তৎপর হওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কিছু দেশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়া সরকার এ পর্যায়ে অনুসন্ধানে নতুন কোনো পরিকল্পনার কথা ভাবছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি যোগাযোগ মন্ত্রী হিশাম উদ্দীন হুসেইন। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের সিইও আহমাদ জওহারি ইয়াহিয়াও এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি খুঁজে বের করায় তাঁরা বদ্ধপরিকর। কবে নাগাদ বিমান নিখোঁজ হওয়ার রহস্যের জট খোলে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র : ডি ডব্লিউ