ইউরোপে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ বেড়েছে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ অভিবাসীদের অধিকাংশই এসেছেন সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সোমালিয়া থেকে৷
যুদ্ধবিগ্রহ ও সংঘাত থেকে পলায়নপর মানুষদের কাছে ইউরোপ একটা স্বপ্ন বৈকি৷ অপরদিকে অর্থনৈতিক সংকটপীড়িত ইউরোপে এই অভিবাসীদের চাকরি এবং সামাজিক সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে অন্যায় ভাগীদার হিসেবে মনে করে থাকেন অনেক ইউরোপীয়৷
তা সত্ত্বেও গতবছর ১,৩৫,৭০০ মানুষ ইইউতে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’ গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস উপলক্ষ্যে এই তথ্য প্রকাশ করে৷
এতে দেখা যায় যে, ২০০৫ সালের পর থেকে ইইউতে আর কখনো এত বেশি মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি৷
২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন ৪,৩৫,০০০ মানুষ৷ তাদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই ছিলেন সিরিয়া অথবা রাশিয়ার মানুষ৷
যারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন, তাদের তালিকাতেও সিরিয়া সর্বোচ্চ: ৩৫,৮০০, যা কিনা ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ৷
দ্বিতীয় স্থানে আছেন আফগানরা-তাদের মধ্যে ১৬,৪০০ জন রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন৷ তৃতীয় স্থানে থাকা সোমালিয়ার ৯,৭০০ জনের আবেদন সফল হয়েছে৷
সিরীয়দের প্রায় ৬০ শতাংশ আশ্রয় পেয়েছেন সুইডেনে ও জার্মানিতে; আফগানরা গেছেন প্রধানত জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ইটালি ও বেলজিয়ামে; সোমালিরা আশ্রয় খুঁজেছেন নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং ইটালিতে৷
এ সময় সুইডেন ও জার্মানি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে। উভয় দেশে ২৬ হাজারের বেশি৷ তৃতীয় স্থানে ফ্রান্স;১৬,২০০৷ চতুর্থ ইটালি;১৪,৫০০৷ পঞ্চম ব্রিটেন, সেখানে আশ্রয় পেয়েছেন ১৩,৪০০ জন।
এই পাঁচটি দেশে ইইউর ৭০ শতাংশের বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে৷ অপরদিকে এস্টোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়া ১০০ জনের কম করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে৷
সুইডেনের জনসংখ্যা ৯৬ লাখ, অথচ তারাই গতবছর সবচেয়ে বেশি মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে: ২৬,৪০০ জনকে৷ জার্মানির জনসংখ্যা সুইডেনের দশগুণ হলেও, জার্মানি মাত্র ২৬,১০০ মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে৷