রমনায় বোমা হামলা : ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হোসেন সুমন, হাফেজ মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আবু বকর।
এদের মধ্যে হাফেজ মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আবু বকর পলাতক।
গত ১৬ জুন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও ওই দিন সম্পূর্ণ রায় লেখা শেষ না হওয়ায় ২৩ জুন রায় দেয়ার দিন ধার্য করা হয়।
এ মামলায় গত ২৮ মে অধিকতর যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় সাক্ষ্য দেন। এ সময় সব আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
ওই বছরের ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপরে স্যা গ্রহণ শেষ হয়।
মামলার ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু হেনার পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় মাওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আবদুল হান্নান, আরিফ হোসেন সুমন, শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শওকত ওসমান, শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ মামলায় হাফেজ মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও মাওলানা আবু বকর এখনো পলাতক।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৪০৮ সালের ১ বৈশাখ) ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসবে বোমা হামলা চালানো হয়। এ হামলায় ১০ জন নিহত হন। বোমা হামলার ওই ঘটনায় ওই দিনই বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র বাদি হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।