ক্ষমা চেয়েছেন ক্যামেরন

Cameronযুক্তরাজ্যের বহুল আলোচিত ফোন হ্যাকিং মামলায় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সাবেক গণসংযোগ পরিচালক অ্যান্ডি কুলসনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন লন্ডনের একটি আদালত। অন্যের ফোনের রেকর্ড করা বার্তা বেআইনিভাবে শোনার চেষ্টা-সম্পর্কিত অভিযোগের মামলায় এ রায় হয়। রায়ে বিব্রত প্রধানমন্ত্রী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কুলসনকে নিয়োগ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
মামলায় সহযোগী আসামিদের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী রেবেকা ব্রুকস, তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন নির্দোষ বিবেচিত হয়েছেন। তাই তাঁরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
অ্যান্ডি কুলসন ও রেবেকা ব্রুকসসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে চারটি আলাদা অভিযোগে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয়। ফোন হ্যাকিংয়ের ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে বিপথে পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র।
মোট ১৩৮ দিন মামলাটির বিচারকাজ চলার পর এই রায় ঘোষণা করা হয়। স্কুলছাত্রী মিলি দাওলা অপহূত হওয়ার পর নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর পক্ষে তার ফোনের বার্তা বেআইনিভাবে শোনা হয়। সেই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এ বিষয়টি প্রচার পায় এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সাবেক সম্পাদক অ্যান্ডি কুলসনের বিরুদ্ধেও এই বেআইনি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দল সরকারি পদ থেকে তাঁর অপসারণ দাবি করে। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর বিচারবুদ্ধির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন তখন সরল বিশ্বাসে কুলসনকে নিয়োগ করার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি ক্ষমা চাইবেন।
প্রকাশনা জগতের সম্রাট হিসেবে খ্যাত রুপার্ট মারডকের পত্রিকা ও টেলিভিশনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও অন্য রাজনীতিকদের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। বিচারপতি লর্ড লেভিসনের নেতৃত্বে একটি  তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। কমিশন ও মামলার শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন, অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক ও পুলিশের সঙ্গে মারডক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘনিষ্ঠতার তথ্য প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button