ইরাকে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব নাকচ করলেন মালিকি
প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি অগ্রসরমান সুন্নি বিদ্রোহীদের মোকাবেলায় সহায়ক একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে মালিকি বলেছেন, ‘জাতীয় জরুরি সরকার গঠনের আহ্বান ইরাকের সংবিধান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের শামিল। এ ধরনের সরকার গঠনের বিপজ্জনক পরিণতি কারো অজানা নয়।’
ইরাকি নেতা বলেন, ‘যারা সংবিধান ও নব্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ এবং ভোটারদের ভোট চুরি করতে চায় এটি তাদের একটি চেষ্টা।’ ইরাকের সব ধর্মীয় ও গোত্রীয় লোকদের নিয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে নুরি আল-মালিকির রাজনৈতিক দল বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ওই নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি আসন পায় মতাসীন দল। কিন্তু ইরাকের পার্লামেন্ট কাউন্সিল অব রিপ্রেজেনটেটিভে সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মালিকির রাজনৈতিক দল।
সম্প্রতি আইএসআইএল বিদ্রোহীরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর দখল করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ইরাকি নেতাদের গোষ্ঠীগত ও জাতিগত বিভেদের উর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানায়। বিদ্রোহীদের দখলে নেয়া শহর ও অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে সরকারি বাহিনী এখনো সক্ষম হয়ানি।
এ দিকে বিদ্রোহীদের মোকাবেলায় সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন বিশেষজ্ঞ সেনাদের প্রথম দলটি মঙ্গলবার বাদদাদ এসে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শ’ জন বিশেষ সেনা বাগদাদ এসে পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে ইরাকে তিন শ’ মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি সেনা এসে পৌঁছবে বলে বিবিসি জানিয়েছে। তবে তারা সেখানে কোনো প্রত্য সমরে অংশ নেবে না। কেবল ইরাকি সেনাদের পরামর্শ দেবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেণ করবে।
মঙ্গলবার ৪০ মার্কিন সেনা ইরাকি সেনাদের সাথে ফ্রন্ট লাইনে এসে যোগ দিয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। বাকি ৯০ জন বাগদাদে একটি যৌথ অভিযানের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। এ ছাড়া ৪০ সেনাবিশিষ্ট আরো চারটি দল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরাকে এসে উপস্থিত হবে।