দেশজুড়ে বেড়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন
তোফাজ্জল হোসেন কামাল : দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, আইনশৃংখলা বাহিনীর ক্রস ফায়ার, সীমান্তে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের হাতে নিহত নেশা, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের অপরাধের মাত্রা বাড়ার মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা বাড়ছেই। দুর্বল আইনের শাসন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দলীয়করণ, নিম্নমাত্রার গণতন্ত্র, ব্যবসায়িক রাজনীতি ও সরকারি সংস্থার উদাসিনতার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৬ মাসে সারা দেশে খুন হয়েছেন ১৯৯১ জন। শুধুমাত্র গত জুন মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৭৩৩টি। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস)। অধিকারের হিসাবে, রাজনৈতিক সংঘাতে গত ছয় মাসে নিহত হয়েছেন ১৩২ জন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের হিসাবে, জুন মাসে সারা দেশে হত্যাকা- ঘটেছে ৪২৬টি। পরিসংখ্যান মতে, গত ৬ মাসে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৮ জন। তার মধ্যে জামায়াত-শিবিরেরই সবচেয়ে বেশি। এ সংখ্যা ২১ জন।
দুর্বল আইনের শাসন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দলীয়করণ, নিম্নমাত্রার গণতন্ত্র, ব্যবসায়িক রাজনীতি ও সরকারি সংস্থার উদাসিনতার কারণেই সারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে মনে করে মাসিক এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে বিএমবিএস।
বিএসবিএস জানায়, জুন মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৭৩৩টি। যেখানে মে মাসে ছিল ১ হাজার ৭৪৬। সারা দেশে পৃথক ঘটনায় ৭৪৮ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৮৪৩ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৪ জনের মৃত্যু এবং ৩১৬ জন আহত হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ২৮ জনের মৃত্যু ও ৮৪৫ জন আহত হয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১৩ জন ও আহত হয়েছে ১৪৪ জন। আর গত মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ৫৩ জন, যাদের মধ্যে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জন।
এছাড়া যৌতুকের জন্য জীবন দিতে হয়েছে ১৪ নারীকে। গৃহকর্মীসহ অন্যান্য পেশায় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮৩ জন। নির্যাতনে মৃত্যু ৪৪ জন ও আহত হয়েছে ১৩৯ জন। রহস্যজনকভাবে ১৩ জন নারী ও ৪৫ জন পুরুষের মৃত্যু হয়। ১৯৮ জনের অপমৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
অপরদিকে জুন মাসে সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ রোগীর। গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে ৯ জন এবং ক্রসফায়ারে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছিনতাইকারী, দুর্বৃত্ত এবং সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ৮৯ জনসহ আহত ১৯৩ জন। গণধর্ষণের শিকার ১১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে।
রাজনৈতিক সহিংসতায় ছয় মাসে নিহত হয়েছেন ১৩২ জন
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ২২৪ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ১৬৩টি ঘটনা ঘটে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা ঘটে ১৩টি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত অধিকারের ষান্মাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ১৮ জন নিহত ও এক হাজার ৬২১ জন আহত হয়েছেন এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুজন নিহত ও ১২৯ জন আহত হয়েছেন। গত ছয় মাসে ১০৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭১ জন পুলিশের হাতে নিহত হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ জন জামায়াত-শিবিরের, ১২ জন বিএনপির এবং তিনজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই সময়ে গুমের ঘটনা ঘটে ২৮টি।
অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে গণপিটুনিতে ৬৩ ব্যক্তি নিহত হন। ধর্ষণের শিকার হন ২৮৯ জন নারী। প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অপরদিকে গত ৬ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১১৭ জন নিহতের দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক)। তারা বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি। গত সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এতথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বা কথিত ক্রসফায়ারে ৯৪ জন মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে র্যাবের ক্রসফায়ারে ২৭ জন ও পুলিশের ক্রসফায়ারে ৩৯ জন নিহত হন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ অনুযায়ী, এই ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা অপহরণ ও গুমের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন। এঁদের মধ্যে পরে ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই সময়কালে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭১৯টি বাসস্থান, ১৯২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১৬৪টি প্রতিমা, পূজাম-প ও মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় একজন নিহত ও ১৮৯ জন আহত হন।
এ সময়কালে সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের (বিএসএফ) গুলীতে আটজন ও নির্যাতনে চারজন বাংলাদেশি নিহত ও ২৫ জন আহত হন। অপহরণের শিকার হন ৫৩ জন।
এই ছয় মাসে সারা দেশে তিনজন সাংবাদিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৩০ জন সাংবাদিক।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে দেশে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২০ জন নারী। যৌন হয়রানির শিকার হয়ে চারজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী নিহত হয়েছেন।
৬ মাসে খুন ১৯৯১
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে সারা দেশে খুন হয়েছেন ১৯৯১ জন। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সম্প্রতি হঠাৎ করেই যেন এর মাত্রাটা বেড়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিনই ঘটছে খুনসহ নানা অপরাধ। চলতি জুনে (১৮ তারিখ পর্যন্ত) দেশে প্রতিদিন গড়ে খুন হয়েছে ১১ জন। মে মাসের চেয়ে এই হার চারজন বেশি। এর আগে প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) দেশে গড় খুনের হার ছিল ১২ জন। জুন মাসে খুন হয়েছেন ৪২৬ জন। খুনসহ নানামাত্রিক অপরাধের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শনাক্ত হচ্ছে না অপরাধীরা। তবে পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাবির্কভাবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দেশজুড়ে খুন-গুমের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করে প্রতিটি ঘটনার জন্য দায়ীদের শনাক্ত করলেই এই প্রবণতা কমবে বলে মনে করে সুশীল সমাজ।
পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলো ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৮ সালে সারা দেশে খুনের ঘটনা ঘটে ৪ হাজার ৯৯টি। অন্যদিকে ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৩৯৩ জন খুন হন।
প্রতিবছর গড়ে ৪ হাজারেরও বেশি খুনের ঘটনা ঘটার নেপথ্যে পুলিশী তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সম্পত্তি বিরোধ, দখলদারিত্বের কারণে দেশে সব সময় খুনের ঘটনা ঘটছে। চরমপন্থিরাও খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বন্দ্বে খুনোখুনির ঘটনাও বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব খুনিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে পুলিশের সঠিক তদন্ত ও টহল জোরদার করা দরকার।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এম সাখাওয়াত বলেন, ইদানিং রাজনৈতিক হত্যাকা- বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব প্রতিরোধের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আটকাভিযান পরিচালনা করতে হবে।
পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৪ হাজার ২১৯টি, ২০১০ সালে ৩ হাজার ৯৮৮টি, ২০১১ সালে ৪ হাজার ১১২টি, ২০১২ সালে ৪ হাজার ১১৪টি, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৩৯৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ৪০৩, ফেব্রুয়ারিতে ৩২৮, মার্চে ৩৬৯ ও এপ্রিল মাসে ৪০১ জন খুন হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত চার মাসে খুন হয়েছেন ১৫০১ জন, মে মাসে খন হয়েছেন ৬৪ জন। জুন মাসে খন হয়েছেন ৪২৬ জন। বর্তমান সরকারের প্রথম ৫ বছরের শাসনামলে সারাদেশে খুন হয়েছেন ২২ হাজার ৬৫৫ জন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত মে মাসের তুলনায় গত জুন মাসে খুন ছিনতাই বেড়ে গেছে এবং দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী গত মে মাসে সারা দেশে ২৩৬টি ঘটনায় খুন হয়েছেন ৬৪ জন। ছিতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ৪৮টি। ডাকাতি ৮৬টি এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৪৮টি।
গত কয়েক দিনের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ঘটছে খুনসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা। অতি সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর হত্যাকান্ডের শিকার নজরুল ইসলামসহ সাত খুন।
২০ মে ফেনীতে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম এবং ৩১ মে রাতে পাবনার আতাইকুলা থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে একসঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এবং গুলী করে খুন করে সন্ত্রাসীরা। সর্বশেষ রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসার সামনে সন্ত্রাসীদের গুলীতে মারাত্মক আহত হন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম।
হত্যাকান্ডের পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। সাম্প্রতিককালে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে গাণিতিকহারে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ৪৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও মারাত্মকভাবে বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে টেন্ডারবাজিতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, কিছু স্থানে খুনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানেই ঘটনা ঘটছে, যারাই ঘটাচ্ছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এ বিষয়ে পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, দুই/একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যসব সময়ের থেকেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। পুলিশ সব সময় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশও তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।