কূটনীতিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার

Jamatবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও কূটনীতিকদের সম্মানে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করে।
এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক কোরের ডিন শাহের মুহাম্মদ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা, সৌদি রাষ্ট্্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল-বুসাইরি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হোসাইন মুফতুগ্লু, মিসরের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইজ্জত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মেরিডি ল্যানডিমো, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন জন ডেনি লুইস, ব্রিটেনের ডেপুটি হাইকমিশনার নিকলো, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার ড. লুসিন্দা বেল, কাতারের ডেপুটি হেড অব মিশন খালিদ জাহিদ এম আল-মাহমুদ, কানাডার ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেনিয়েল লুতফি, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ওমান, লিবিয়া, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, মতিউর রহমান আকন্দ ও ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আপনাদের উপস্থিতি মাহফিলকে সার্থক করেছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ দলের শীর্ষ নেতাদের সরকার বন্দী করে রেখেছে। তারা নোংরা রাজনীতির শিকার। এ জন্য আমাদের অন্তরে রক্তরণ হচ্ছে। এ সন্ধ্যায় আমরা তাদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের সম্মানিত নিরপরাধ নেতাদের বিচারকে সমর্থন বা অনুমোদন না করে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। একটি শান্তিকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। বরং সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করে।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমজান মাস হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কুরআন মানবজাতির জন্য শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করেছে। আমরা যদি সত্যিকারভাবে পবিত্র কুরআনের বাণী অনুসরণ করে চলতে পারি তাহলে আমরা শান্তি ও কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবো। ইফতারের আগে তিনি সবাইকে নিয়ে দোয়া করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button