আমার বিরুদ্ধে মামলা “রাজনৈতিক”
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি বলছেন তাকে হেয় করার জন্য বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ১৫ ঘণ্টা আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ফ্রান্সের গণমাধ্যমে তিনি তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আইন ভাঙ্গার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন ডানপন্থী বিচারকরা তার রাজনীতিতে ফিরে আসাকে রোধ করতে চায়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার জন্য অন্যায়ভাবে তহবিল সংগ্রহের একটি মামলায় মি.সারকোজির গোপন তথ্য বের করার চেষ্টা হয়েছিল এবং এটি থামাতে বিচারক যাতে কাজ করে তার বিনিময়ে ঐ বিচারপতিকে উচ্চ পদ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার অভিযোগ ওঠে সারকোজির বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগেই মঙ্গলবার দুর্নীতি বিরোধী পুলিশ তাকে ১৫ ঘণ্টার লম্বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখে।পরে প্যারিসে একজন বিচারকের কাছে তাকে হাজির করা হয়।
দেশটির সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে পুলিশ হেফাজতে রাখার ঘটনা এটিই প্রথম।
এ ঘটনার পর ফ্রান্সের গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মি.সারকোজি বলেন “যা কিছু হয়েছে তার জন্য আমি গভীরভাবে মর্মাহত। যদি আমি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আমি তার পরিণতি মোকাবেলা করবো। আমি সেধরনের মানুষ না,যে দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাব”।
৫৯ বছর বয়সী সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে হেরে গেলেও মধ্য ডানপন্থী এই নেতা ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছিল।
তবে নতুন এই তদন্ত প্রক্রিয়া তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তুলছে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যাল যার কাছে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ২০১২র নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন-তিনি জোর দিয়ে বলেছেন এই তদন্ত প্রক্রিয়া হবে স্বাধীন।