এরশাদের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ আসনে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ (লাঙ্গল) ও জাসদের সাদেকুল ইসলাম (মশাল) নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করায় লালমনিরহাট সদর থানায় উভয়য়ের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৪ ধারায় মামলা রুজু করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও রিটার্নি অফিসার হাবিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ মামলা লালমনিরহাট সদর থানায় রুজু করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এএইচএম মাহফুজার রহমান জানান, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ আসনে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের সাদেকুল ইসলাম নির্বাচনে অংশ নেন। ওই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যথাসময়ে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করায় গনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন জেলা রির্টানিং অফিসার হাবিবুর রহমান। লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং ১০(০৩-০৭-২০১৪)।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘যথাসময়ে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে লালমনিরহাট-১ আসনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম মিঠু জানান, কিছুদিন আগে লালমনিরহাট সফরে এসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিকট থেকে এরশাদ সাহেব নিজেই নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়েছেন। তবে তা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন কি না তা আমি জানি না। তবে বিষয়টি ঢাকায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট-১ আসনে (পাটগ্রামÑহাতীবান্ধা) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ লাঙ্গল প্রতীক ভোট পেয়েছিল পাঁচ হাজার ৫৯৭ ভোট, জাসদের সাদেকুল ইসলাম মশাল প্রতীক ছয় হাজার ৫৫১ ভোট ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি পান এক লাখ ৭৯ হাজার ৮১৪ ভোট।