মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় মডেল ফেলিশিয়ার ইসলাম গ্রহণ
মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় মডেল ফেলিশিয়া ইয়াপ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসলাম তাকে নতুন জীবন দিয়েছে। গত শুক্রবার ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলেন ইয়াপ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ আজ শুধু আমার জন্মদিনই নয়, এদিন যেন আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে। ২৮ বছর পর আজ আমি আমার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি।’
ইয়াপ জানান, সাত মাস ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করার পর তিনি পবিত্র এই ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি হিজাব পরা শুরু করেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ না করায় তার হিজাব পরা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
ইয়াপ বলেন, হিজাব পরার পর ইসলাম গ্রহণ না করলেও তা মনপ্রাণ ইসলামেই পড়ে ছিল। অবশেষে ৩ জুলাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের জন্য তাকে বহু ঝড়-ঝাপ্টা পাড়ি দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এক সময় ম্যাকাউয়ের প্লেবয় ক্লাবে কাজ করা ইয়াপ বলেন, ইসলাম গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় তাকে একঘরে করে রাখা হয়। তবে তিনি তার মাকে ধন্যবাদ জানান যে তিনি তার ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়েছেন।
নিকটজনের সমালোচনায় তিনি ভেঙে পড়লেও তার ইচ্ছা বাস্তবায়নে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ কারণে তিনি হিজাব ত্যাগ করেননি।
গত ডিসেম্বরে তার ইসলামপ্রীতির খবর প্রকাশিত হলে তার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের মধ্য থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার লোক তার থেকে সরে দাঁড়ান।
কেউ কেউ এমন কথাও বলেন যে একজন ধনী মালয়েশিয়ানকে বিয়ে করার জন্যই ইসলাম গ্রহণ করছেন চীনা বংশোদ্ভূত ইয়াপ।
এর জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চাইলে তার মডেল পরিচয়ই যথেষ্ট ছিল।
মালয়েশিয়ার অনেক মেয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা শুধু তাদের বয়ফ্রেন্ডের কত টাকা আছে এবং সেখান থেকে কত খসিয়ে নিতে পারল তার হিসাব নিকাশে ব্যস্ত।
২০০৫ সালে মডেলিং শুরু করেন ইয়াপ, শিক্ষকতায় জড়িত ছিলেন তিনি। সুন্দরী প্রতিযোগিতাসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ইয়াপ।
২৮ বছর বয়সী ইয়াপ বলেন, ইসলাম গ্রহণ করলেও তিনি তার চীনা নামটিই বহাল রাখতে চান। এ নামের অর্থ প্রশান্তি। -সূত্র: মালয়েশিয়ান ইনসাইডার