উন্মুক্ত হলো রাজধানীর পঞ্চম গেটওয়ে কুড়িল ফ্লাইওভার

Flyরাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড উড়ালসেতুটি যান চলাচলের জন্য রোববার খুলে দেয়া হয়েছে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই উড়ালসেতুটির উদ্বোধন করেন। এই উড়ালসেতু ব্যবহার করে উত্তরা ও বনানী থেকে সহজেই প্রগতি স্বরণী হয়ে রামপুরার দিকে যাওয়া যাবে। এর ফলে কুড়িল বিশ্বরোড রেল ক্রসিং এলাকার যানজট অনেকটা দূর হবে বলে আশা করছেন গৃহায়ন ও গণপৃর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান। ২০১০ সালের ২ মে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ এই উড়ালসেতুুর উদ্বোধনের পর সব ধরণের যান চলাচলের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই উড়ালসেতুটি নির্মান করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপ (রাজউক)। উড়ালসেতুটির দৈর্ঘ্য ৩.১ কিলোমিটার আর প্রস্ত ৬ দশমিক ৭ মিটার। এর সঙ্গে ১.৯৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হয়েছে।কুড়িল উড়ালসেতু প্রকল্পের পরিচালক বলেছেন, রেলক্রসিংয়ের কারণে কুড়িল এলাকায় প্রচুর যানজট হয়। এই উড়ালসেতুটি খুলে দেওয়াতে যানজট অনেকটা কমবে। কুড়িল থেকে রাজউকের পূর্বাচল নতুন প্রকল্পে ৩০০ ফুট রাস্তায় সহজেই যাওয়ার জন্য মূলত এই উড়ালসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে প্রগতি স্বরণীসহ বিশ্বরোড রেলক্রসিংয়ের উভয় পাশে বিমান বন্দর সড়কে সেতুটির র‌্যাম্প থাকায় তিনদিকের সড়ক দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল করা যাবে। এছাড়া ফাইওভরের নিচেও তিনদিক দিয়ে সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। ফলে উড়ালসেতুর পাশাপাশি এর নিচ দিয়েও যানবাহন চলাচল সহজ হবে।কুড়িল রেল ক্রসিং দিয়ে ১৬০ বার রেল যাতায়াত করে। এতে প্রায় আট ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ কারণে রেল ক্রসিংয়ের প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। বর্তমানে প্রতিদিন এ পথে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আগামী ৫০ বছরের কথা চিন্তা করে কুড়িল উড়ালসেতুর নকশা করা হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার যানজট অনেক কমে যাবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button