সমুদ্রসীমা রায়
১৯,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটারের অধিকার পেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সাড়ে ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা এলাকার সাড়ে ১৯ হাজার বর্গ কিলোমিটারের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা নিয়ে রায়ে এককভাবে কোনো দেশ বিজয়ী হয়নি। উভয় দেশ সমতার ভিত্তিতে জয়ী হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের মোট ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমার বিরোধ রয়েছে। এর মধ্যে রায়ে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এর আগে নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালত (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন) এ রায় গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পক্ষকে জানান।
পরে বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে এ সংক্রান্ত রায় হস্তান্তর করার কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক সালাউদ্দিন নোমান।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় সরকারের কাছে এসেছে। এ রায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রায়ের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিসি আদালতের কার্যবিধি অনুযায়ী, গত জুন মাসে রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু তা বিলম্বিত হয়।
এ আদালতে ২০১৩ সালের ৯ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।
শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, কার্যবিধির ১৫ ধারা অনুযায়ী, ছয় মাস পর এই দুই নিকট প্রতিবেশীর সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় দেয়া হবে।
এর আগে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক সমুদ্র আইন-বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মামলা করেছিল।