মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে জাপানে হালাল খাবার
মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে জাপানে এখন নামাজঘরের ব্যবস্থাসহ স্থানীয় রেশমের তৈরি হিজাব এবং হালাল সনদ দেয়া তিমি মাছও পাওয়া যায়। ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসরণে জাপানের পর্যটন কর্তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যাপকভাবে এক জাতিকেন্দ্রিক সূর্যোদয়ের এই দেশে মুসলমানের সংখ্যা এক লাখ হতে পারে।
অন্য ধর্ম-সংস্কৃতির অচেনা-অপরিচিত প্রথাগুলোর প্রতি যতœবান হয়ে ২০২০ সালের মধ্যে জাপানে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণের সহায়ক পরিবেশ গড়তে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মালয়েশীয় ফুড কোম্পানি ব্যাহাম’র প্রধান দাতুক ইব্রাহিম হাজি আহমদ বাদাউ সম্প্রতি টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘হালাল পর্যটন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এএফপিকে বলেছেন, মনে হচ্ছে সরকার এখন বিষয়টি অনুধাবন করছে।
গত বছর জাপানের ২০টি অঞ্চলে এ ধরনের সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মুসলমানদের জন্য কি ধরনের খাদ্য পরিবেশন করতে হবে এটাই ছিল এসব সেমিনারের উদ্দেশ্য। সেমিনারে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ওসাসা চেম্বার অব কমান্স সর্বভোজী ভোজনরসিকদের এই দেশে ৫ হাজার লিফলেট বিতরণ করে। মুসলমানদের জন্য মদ ও শূকরের গোশত নিষিদ্ধসহ কী ধরণের খাবার পরিবেশন করতে হবে লিফলেটে তার উল্লেখ রয়েছে।