গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০
আন্তর্জাতিক চাপ অগ্রাহ্য ইসরাইলের
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি আহবান ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে গাজায় আবারো নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরাঈল। রবিবার সারারাত ধরে বিমান হামলা চলে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায়। সবচাইতে বেশী বোমা হামলা চালানো হয়েছে গাজার নিরাপত্তা দফতর ও পুলিশ স্টেশনে।
এদিকে ইসরাঈল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে।
পবিত্র রমজান মাসেও ৫ম দিনের মতো গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাঈল। গতকালের প্রাণহানি ছিলো সব চাইতে বেশি। ইসরাঈলি বিমান হামলায় অন্তত ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এনিয়ে ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়াঁলো ১৬০। জাতিসংঘ জানিয়েছে নিহতদের ৭৭ ভাগই হচ্ছে সাধারণ নাগরিক।
ইসরাঈল ও ফিলিস্তিনকে অস্ত্র বিরতিতে যাবার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরাঈলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল এই আহবান জানায়।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১৫ সদস্যই বিবৃতিতে উভয়পক্ষকে সংযত হবার আহবান জানিয়েছে। এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংলাপে বসার কথা বলেছে। এবার প্রথম ইসরাঈল হামলা চালানোর পর এত দ্রুত নিরাপত্তা কাউন্সিল তাদের উদ্বেগ জানালো। নতুব এ ইস্যুতে সবসময় বিভক্তি দেখা যেতো।
এদিকে সব ধরনের মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত করে পবিত্র রমজান মাসেও রাঈলি সেনাদের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। টানা চারদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজায় চালানো ইসরাঈলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
স্বজন হারাদের আর্তনাদ আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গাজার আকাশ। চতুর্দিকে কেবল কান্না আর সাহায্যের জন্য আহাজারি শোনা যাচ্ছে।
ইসরাঈলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেখান থেকে অবিলম্বে গাজায় ইসরাঈলি হামলা বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছে। শুক্রবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার, ইতালি, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও তিউনিশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, ইসরাঈল ও ফিলিস্তিনের অস্ত্র বিরতির জন্য মধ্যস্থতা করতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ইসরাঈল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নিয়াহু বলেছেন, কোন আন্তর্জাতিক চাপই আমাদের অভিযান থেকে ফিরাতে পারবে না। আমরা তখনি থামবো যখন আমাদের মিশন পূর্ণ হবে।