গাজায় সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলের সম্মতি
গাজা উপত্যকায় এক সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা ও সহিংসতা বন্ধে মিসরের দেয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ইসরায়েল। তবে তা নাকচ করে দিয়ে শর্ত দিয়েছে হামাস। বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিষয়ে হামাসের কিছু শর্ত রয়েছে, যা পরে বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে মিসরের তৈরি একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েল এবং হামাস উভয়পক্ষই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই প্রস্তাবে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকেই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং দুপক্ষ কায়রোয় বসে বৈঠক করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবারই তার মন্ত্রীদের সঙ্গে বসেন। ওই বৈঠকেই মিসরীয় প্রস্তাবে সম্মতি দেয়া হয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহামুদ আব্বাস মিসরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও গাজায় হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহারি বলেন, অস্ত্রবিরতির আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব নিয়ে মিসরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনাই হয়নি। যুদ্ধবিরাতির এই প্রস্তাব ‘আত্মসমর্পণতুল্য’ আখ্যায়িত করে তা নাকচ করে হামাস।
এ প্রসঙ্গে হামাসের অন্যতম মুখপাত্র ফাওজি বারহুম বলেছেন, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় আগে যুদ্ধবিরতি করে পরে আলোচনা করার কোনো অর্থ হয় না।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবারও ফিলিস্তিনি এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত মঙ্গলবার এই হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গত এক সপ্তাহে গাজা থেকে প্রায় ১ হাজার রকেট তাদের এলাকায় ছোড়া হয়েছে।
৩ ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত ও পরে নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাসকে দায়ী করে গত ৮ জুলাই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর পরিস্থিতি আরো বিস্ফোরক হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গাজা অঞ্চল থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।