রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে আলোচিত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে অর্ন্তভুক্ত করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেয়া হয় তারা হলেন—রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা একসময়ের তেল ব্যবসায়ী আবদুল খালেক, রানার মা মিসেস মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোহাম্মদ আলী খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক আর্কিটেক্ট এ টি এম মাসুদ রেজা, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মুন্সিগঞ্জ) উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আবদুল মোত্তালিব, সাভার পৌরসভার সাবেক সচিব মো. আবুল বাসার, সাবেক সচিব (বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রেভিনিউ অফিসার) মর্জিনা খান, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস ও ফ্যান্টম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুল সামাদ ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেডের মো. আনিসুর রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজউকের অনুমোদন না নিলেও ২০০৭ সালে স্থানীয় পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে ছয়তলা করার অনুমতি নিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রানা প্লাজার নির্মাণ শুরু করে। তারপর সেটি ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করেন রানা। ২০০৭ সালের আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত। পেছনে ছিল জলাশয়। ভবন নির্মাণের জন্য এগুলো দখল করে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এই কাজে পৌরসভার মেয়র, প্রকৌশলী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ পাওয়ায় মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। তাই কমিশন ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন কয়েক শতাধিক। ঘটনার দিনই সোহেল রানা পালিয়ে যান। পরে ২৮ এপ্রিল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।