জগন্নাথপুর ইসলামিক সোসাইটির ইফতার মাহফিলে বক্তারা : তরুণদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক
জগন্নাথপুর ইসলামিক সোসাইটি ইউকে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, সোসাইটির কাজে তরুণদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে এলাকার সাথে তাদের যোগসূত্র স্থাপিত হবে। ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে পরিচালিত জগন্নাথপুর জামেয়া দ্বীনিয়া দেশে সুনাগরিক তৈরিতে যে ভূমিকা রাখছে তাতে তরুণদের আরো এগিয়ে এলে ভবিষ্যতে তারাই এর নেতৃত্ব দেবে। কারণ তরুণরাই হচ্ছে আগামী দিনের ভবিষ্যত। তারা ইফতার মাহফিলে বিপুল সংখ্যক তরুণের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন। যেখানে অতীতে কল্পনাই করা যায়নি যে, জগন্নাথপুর এলাকায় এতো বড় একটি প্রতিষ্ঠান হবে আজ সেটা বাস্তবে পরিণত হলো। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল অবশ্যই অশেষ ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। ৮ জুলাই লন্ডন মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত মেহমানরা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম কামালীর সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অতিথিদের মধ্যে ইফতারপূর্ব আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট কবি ফরিদ আহমদ রেজা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল হাই মুর্শেদ ও কাউন্সিলার গোলাম রব্বানী প্রমূখ।
সভায় সংগঠনের সেক্রেটারী আরিফ খান উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে তার বক্তব্যে এই মহৎ কাজে সকলকে আরো বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গরীব ফান্ডের রিপোর্ট পেশ করেন সোসাইটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তবরিছ আলী। এতে সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করা হয় এবং উপস্থিত সদস্যরা নানা বিষয়ে তাদের মূল্যবান পরামর্শ ও ইতিবাচক মন্তব্য করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসার এতিমখানার দাতা মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল বারী, বাংলাদেশ থেকে আগত মেহমান মাওলানা শফিকুল ইসলাম, সোসাইটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, পরিচালনা কমিটির সদস্য মুনতাসির আলী প্রমূখ।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং সোসাইটিকে ভালো কাজগুলোকে কবুল করার জন্য এবং এর কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে আল্লাহতাআলার সাহায্য কামনা করে দোআ ও পরে ইফতারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। -বিজ্ঞপ্তি