ব্রিটেনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ পদত্যাগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। হেগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৫৮ বছর বয়সী ফিলিপ হ্যামন্ড। অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন মাইকেল ফ্যালন। হেগ এখন হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত এ দায়িত্বে থাকবেন তিনি। নির্বাচনে দলের জন্য কাজ করবেন। এর পর রাজনীতি থেকেও বিদায় নিয়ে ফিরে যাবেন লেখালেখিতে।
ইরানের সঙ্গে চলমান পরমাণু আলোচনা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে হেগের আকস্মিক পদত্যাগে বিস্মিত অনেকেই। ক্যামেরনের মন্ত্রিসভায় অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নারী মন্ত্রীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগ্যান, পরিবেশমন্ত্রী লিজট্রুস উল্লেখযোগ্য।
এক টুইটে হেগ বলেন, ‘২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে এমপি পদে আমি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।’ হেগ বলেছেন, হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে তার নতুন ভূমিকার অর্থ হলো, তার রাজনৈতিক জীবনের অবসান। ২৬ বছর এমপি থাকার পর সরে যাওয়ার এটিই সঠিক সময় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই হেগ পদত্যাগ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রবীণ রাজনীতিক কেনেথ ক্লার্ক ও কৃষিমন্ত্রী ওয়েন প্যাটারসনও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। সব মিলিয়ে ক্যামেরনের মন্ত্রিসভা থেকে ১২ জন সরে যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন হেগের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘উইলিয়াম হেগ শুধু প্রথম শ্রেণীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি একজন পরামর্শক ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’