গাজায় ইসরাইলের স্থল অভিযান শুরু, নিহত বেড়ে ২৫৮
টানা ১০ দিন বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদীবাদী ইসরাইল স্থল অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় স্থল অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। নির্দেশের পর ইসরাইলের সাজোয়া যান গাজার ভেতরে ঢুকে অভিযান শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গাজার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণের পাশাপাশি হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা থেকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলার জবাবে তারা এই স্থল অভিযান শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা মান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের বিমান, পদাতিক ও নৌবাহিনী একযোগে গাজায় হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস। তারা ইসরাইলকে এ স্থল অভিযানের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৮ জুলাই থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে ২৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক। এ সময়ে আহত হয়েছে তিন সহস্রাধিক মানুষ।
এর মধ্যে স্থল অভিযান শুরুর সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে কমপক্ষে ৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী।
বিপরীতে ৮ জুলাই থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে কয়েক দিন আগে হামাসের রকেট হামলায় এক ইসরাইলি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ১৩৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
যুদ্ধদুর্গত বেসামরিক মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করে উভয় পক্ষ। তবে এর সময়সীমা শেষ হতে না হতেই উভয় দিক থেকে আবার পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে গাজা থেকে ইসরাইল তার সেনা বাহিনী তুলে নেয়। এরপর সর্বশেষ তারা ২০০৯ সালে গাজায় বড় ধরনের অভিযান চালায়।