প্রধানমন্ত্রী নাজিবের শোক
মালয়েশিয়ার জন্য মর্মান্তিক দিন, মর্মান্তিক বছর
ইউক্রেনের আকাশে গোলার আঘাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দিনটিকে তিনি ‘মর্মান্তিক দিন’ ও চলতি বছরকে মালয়েশিয়ার জন্য ‘মর্মান্তিক বছর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাজাক। বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষ একটি বিমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উদ্ধারকারী দল শুক্রবার কিয়েভে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্তকে কোনোভাবেই বিপথে যেতে দেয়া যাবে না।’
তিনি ােভ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক উড্ডয়ন সংস্থা বিমানটির যাত্রাপথকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ঘোষণা করেছিল। এ ছাড়া বিমানটি থেকে কোনো বিপদ সঙ্কেতও আসেনি। তিনি বলেন, তার দেশ এ মুহূর্তে শোকাবহ এ ঘটনার সঠিক কারণ উদ্ধার করতে না পারলেও অচিরেই উদঘাটিত হবে যে, এবারের বিমানটির ভাগ্যে কী ঘটেছে।
শোনা যাচ্ছে, প্রতিপরে বিমান ভেবে ইউক্রেনীয় সরকারি বাহিনী কিংবা সশস্ত্র রুশপন্থীদের কোনো এক প বিমানটিকে গোলার আঘাতে ধ্বংস করেছে। এ কারণে কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটির রেকর্ডবিহীন বিমানটি ইউক্রেন সীমান্তে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ খবরের পরিপ্রেেিত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানটিকে বিস্ফোরক ছুড়ে বিধ্বস্ত করা হয়েছে, এমনটিই যদি হয়ে থাকে, তাহলে আমি চাই, দ্রুততার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ মার্চ ২৩৯ আরোহী নিয়ে ভারত মহাসাগরের কোনো অংশে রহস্যময়ভাবে হারিয়ে যায় মালয়েশিয়ার বিমান এমএইচ ৩৭০। ওই ত না শুকাতেই, এবার এমএইচ ১৭ কে হারিয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে আরো বড় ধরনের শোকের সাগরে ভাসতে হতে হলো দেশটিকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো এই বিমান বিপর্যয়কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন। অপর দিকে নিজেদের আকাশ সীমান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটার জন্য ইউক্রেন সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।