দুবাই সম্পর্কে ১৫টি তথ্য যা আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে
একবিংশ শতাব্দির সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনবান্ধব অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠছে দুবাই। সম্প্রতি এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিং শহর গড়ে তোলার ঘোষণা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হলেও তা ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। এখানে দেখে নিন এই মরুর দেশ সম্পর্কে ১৫টি বিস্ময়কর তথ্য।
১. বিশ্বের প্রতি চারটি বিশাল ক্রেনের একটি দুবাইয়ে রয়েছে। ক্রমবর্ধমান আধুনিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসার কারণে বিশ্বের ২৪ শতাংশ ক্রেন এখানেই রয়েছে।
২. সমুদ্রের বুকে কৃত্রিম পাম আইল্যান্ড তৈরি করতে যে পরিমাণ বালু লেগেছে তা দিয়ে আড়াইটা এম্পায়ার এস্টেট ভবন ভরে ফেলা যাবে। এই দ্বীপটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৯৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার বালু।
৩. বুর্জ আল আরবে যে পরিমাণ স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে ৪৬ হাজার ২৬৫টি মোনা লিসার ছবি ঢেকে ফেলা যাবে। এই ভবনের অভ্যন্তরে প্রায় ১৭ হাজার ৭৯০ বর্গ মিটার এলাকা ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের পাতা ব্যবহার করা হয়েছে।
৪. দুবাইয়ের পুলিশ বাহিনী যে সুপার কার ব্যবহার করে তার প্রত্যেকটির মূল্য দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের একটি শিশুকে কলেজ পাস করানো যাবে। পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করে ফেরারি এফএফ (৫ লাখ ডলার), ল্যাম্বোরগিনি অ্যাভেন্টাডোর (৩ লাখ ৯৭ হাজার ডলার)। এমনকি তাদের অ্যাস্টন মার্টিন ওয়ার-৭৭ (১.৭৯ মিলিয়ন ডলার) গাড়িও দেওয়া হয়েছে।
৫. দুবাইয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ নাগরিক বিদেশি। এর অধিকাংশই ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি।
৬. উটের দৌড় প্রতিযোগিতায় জকি হিসেবে শিশুদের ব্যবহার অবৈধ এবং বর্বরোচিত। তাই বর্তমানে শিশুদের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব রোবটের মূল্য ৩০০ থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়।
৭. বুর্জ আল খলিফা এতো বেশি উঁচু যে, এর ১৫০ বা ১৬০ তলায় যারা বাস করেন তাদের অন্যদের অপেক্ষা অনেক বেশি সময় পর্যন্ত রোজা রাখতে হয়। কারণ তারা সূর্য উদিত অবস্থায় দেখতে পান।
৮. বুর্জ আল খলিফা যদি জার্মানির ফ্রেবার্গে অবস্থিত হতো তাহলে ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ থেকেও তা দেখা যেতো। ভবনটি ৯৫ কিলোমিটার দূর থেকে নজরে আসে। আর জার্মানির ফ্রেবার্গ থেকে ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গের দূরত্ব ৮৬.৪ কিলোমিটার।
৯. গহনা বা সাজ-সজ্জার জন্য ২০১৩ সালে ৭০ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের ব্যবসা হয় দুবাইয়ে। এর ওজন ২২ লাখ ৫০ হাজার কেজি যা ৩৫৪টি হাতির ওজনের চেয়েও বেশি। আফ্রিকার বড় আকারের একটি হাতির ওজন ২ হাজার ২৬৮ কেজি থেকে ৬ হাজার ৩৫০ কেজি পর্যন্ত হয়।
১০. তাপ নিয়ন্ত্রিত গোটা একটি শহর নির্মাণ করা হচ্ছে দুবাইয়ে যা মোনাকো শহরের চেয়ে ২.২৫ গুণ বড়।
১১. ২০১৩ সালে দুবাইয়ে যে পরিমাণ পর্যটক এসেছিলেন তা সংখ্যা চীনের শেনঝেন প্রদেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। চীনের এ অঞ্চলের জনসংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার এবং এটি বিশ্বের ১২তম জনবহুল শহর।
১২. বুর্জ আল আরব হোটেল কাঠামোর ৩৯ শতাংশ অংশ কোনো কাজের নয়। এই বিশাল পরিমাণ স্থান সৌন্দর্য বর্ধন এবং কাঠামো দাঁড় করাতে নির্মিত হয়েছে।
১৩. দুবাইয়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ তেল উৎপাদন হয় তা দিয়ে সাড়ে চারটি অলিম্পিকের সুইমিং পুল ভরে ফেলা যাবে। প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয় যা মোটামুটি ১১ হাজার কিউবিক মিটারের সমান। ১৯৯১ সালে তেল উৎপাদনের চরম সীমায় প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদিত হতো।
১৪. দুবাইয়ে চারজন তালিকাভুক্ত বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদের পরিমাণ হন্ডুরাসের জিডিপির সমান। আইএমএফ বের হিসেবে, হন্ডুরাসের জিডিপি ১৮.৮ বিলিয়ন ডলার।
১৫. দুবাইয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এর মূল্য প্রায় ৬৪.৩ বিলিয়ন ডলার যা সুসান জি কোমেন ফাউন্ডেশনের ২০১২ সালের আয়ের চেয়ে দেড় লাখ গুণ বেশি। ওই বছর ফাউন্ডেশনের আয় ছিলো ৪ লাখ ২৮ হাজার ৮৯৭ ডলার। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার