হামাসের হাতে ইসরাইলি সৈন্য আটক
গাজায় আক্রমণকারী ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজনকে আটক করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ইসরাইল জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল গতকাল। এ দিন প্রায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১৩ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ২০০৬ সালে লেবাননে হিজবুল্লাহ মোকাবিলার পর কোনো একটি দিনে এত সংখ্যক ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়নি। এর ফলে ইসরাইলের মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো অন্তত ১৮ জনে। নিহতদের মধ্যে ইসরাইলের একজন মেজরও রয়েছে। আর ফিলিস্তিন পক্ষে নিহত হয়েছে ৪৩৮ জন।
হামাস জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় তারা এক ইসরাইলি সৈন্যকে আটক করেছে। এই দাবির পর তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করে, মিষ্টি বিতরণ করে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেন, শল অ্যারন নামের এক ইসরাইলি সৈন্য কাসেম ব্রিগেডের হাতে ধরা পড়েছে।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এখনো এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি। ইসরাইলি বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, তারা দাবিটির কথা শুনেছেন, এবং তা তদন্ত করে দেখছেন।
এএফপির সংবাদদাতারা বলেন, কাসেম ব্রিগেডের হাতে ইসরাইলি সৈন্য ধরা পড়েছে, এ খবর শোনার পর গাজা নগরী এবং সেইসাথে পশ্চিমতীরের রামাল্লা ও হেবরনে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনিরা হামাসের প্রশংসা করে ফাঁকা গুলি করতে থাকে।
কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরাইলি সৈন্যটি ২৪ ঘণ্টা আগে ধরা পড়েছে। গাজা নগরীর পূর্ব প্রান্তে তোফা জেলায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে পাকড়াও করা হয়।
ওই এলাকায় প্রচন্ড গোলাবর্ষণ চলছে। হামাসও জবাব দেয়ার চেষ্টা করছে।
হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এক জায়নবাদী সৈন্যের ধরা পড়ার খবরটি বিরাট জয়। এটা আমাদের রক্তস্নাত শহিদদের জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ।
২০০৬ সালে গিলাদ শালিত নামের এক ইসরাইলি সৈন্যকে অপহরণ করেছিল হামাস। তাকে তারা ২০১১ সাল পর্যন্ত আটকে রেখেছিল। পরে ১,০২৭ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তবে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের এর পরপরই আবার আটক করে ইসরাইল।
এবার ইসরাইলের মোকাবিলায় হামাসের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসরাইলি সৈন্যদের আটক করা। হামাস মনে করে, এভাবেই ইসরাইলকে আগ্রাসন থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।