গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২ সপ্তাহে নিহত ৫৮০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের টানা ২ সপ্তাহে ৫৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩ হাজার ৩০০ জন আহত হয়েছেন। নিহত হওয়া ফিলিস্তিনিদের বিরাট অংশ হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এ ছাড়া এই হামলায় ৪টি হাসপাতাল, ৩৪টি মসজিদ ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছেন গাজার ১ লাখ মানুষ। সামরিক বাহিনী প্রায় ৩ হাজার বার বিমান হামলা চালিয়েছে।
সোমবারও মধ্য গাজার একটি হাসপাতালের ওপর বোমা বর্ষণ করেছে ইসরাইল। এতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫ জন এবং ৪০ আহত হন। গাজার অধিবাসীদের বিরাট অংশ ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে পানির কষ্টে পড়েছে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
এদিকে হামাসের হাতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী অনেকটা পর্যুদস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের হিসাব মতে ইহুদিবাদী সেনা নিহত হয়েছে ২৭ জন। তবে হামাসের হিসাবে এ সংখ্যা ৪২।
এ ছাড়া কয়েকজন বেসামরিক মানুষও মারা গেছে। তবে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার কারণে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য শুরু হয়েছে জোর প্রচেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি পৌঁছেছেন মিসরে। তিনি শিগগিরই যুদ্ধবিরতি করতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি তার ভাষায় গাজার সহিংসতা বন্ধের কথা বলেছেন। যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকারের প্রধান মাহমুদ আব্বাস কাতার গেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশআলের সঙ্গে আলোচনার জন্য।