অনুষ্ঠানের পুরো সময়টাই ঘুমিয়ে কাটালেন মন্ত্রী
নগরীর সমাজসেবা অধিদফতরের মিলনায়তনে চলছিল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট্রি বোর্ডের পরিচিতি সভা। বুধবারের এই সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও প্রায় পুরোটা সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।
ক্লান্তি যেন কখনোই মন্ত্রীর পিছু ছাড়ছে না। এজন্য অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় মন্ত্রীকে কখনও কপালে হাত, কখন ডান হাতের উপরে মাথা, কখনো গালে হাত দিয়ে ঘুমাতে দেখা গেছে।
অথচ অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে এবং অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
কিন্তু তাতেও কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে মন্ত্রী ঘুমাতেই থাকেন। মন্ত্রীর এই অবস্থা দেখে অনেকটা বিব্রতবোধ করেছেন সভায় আসা অন্যান্য অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট্রি বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুশান্ত কুমার ট্রাস্ট যখন আইনের প্রধান প্রধান বিষয়াদি উপস্থাপন করেন তখনও কপালে হাত রেখে মন্ত্রীকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান। গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, ‘যে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্ত্রী এভাবেই ঘুমান। মানুষের তন্দ্রাভাব আসতেই পারে। তাই বলে ছবি তুলে পত্রিকায় ছাঁপানো সাংবাদিকের কোনো ইথিক্সে পড়ে না।’
এর আগেও কেশবচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঞ্চে বসে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় জনগণের সামনে প্রকাশ্যে ধুমপান করে সমালোচনার মুখে পড়েন মন্ত্রী। পরে ব্যাপারটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে তিনি ক্ষমা চান।
পরিচিতি সভায় আরও বক্তব্য দেন, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক,নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারপার্সন গোলাম রাব্বানী বিএসএমএমইউ উপাচার্য ড. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ।