বিবিসির ভন্ডামী ফাঁস করলেন জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা

BBCএবারও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমা গণমাধ্যমের পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। গণহত্যা কিংবা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমা মাধ্যমগুলো যেভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নেয় তা ফাঁস করে দিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা রিচার্ড ফালক। তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে পক্ষপাতপূর্ণ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশে বিবিসির কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজের ব্লগে লিখেছেন তিনি।
নিজের ব্লগ পোস্টে রিচার্ড ফালক উল্লেখ করেন-
‘ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের বিষয়ে কথা বলার জন্য গত সপ্তাহে কমপক্ষে চার বার বিবিসি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রত্যেকবারই বিবিসির একজন নারী সাংবাদিক, তার সুললিত বৃটিশ ভাষায়, আমার মতামতগুলো নিয়ে বিতর্ক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবং প্রত্যেকবারই আমি বিবিসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলাম। যদিও আমি তুরস্কের যে গ্রামটিতে বাস করি, তাতে ইন্টারনেট সংযোগ অবিশ্বাস্য রকমের ধীরগতির। তবুও পড়শীদের থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আমি বিবিসির অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেই।
প্রত্যেকবারই আমি অনুষ্ঠান শুরুর আগ থেকেই অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোন না কোন অজুহাতে বিবিসি আমাকে মতামত প্রকাশ থেকে বিরত রাখে। কখনও ব্রেকিং নিউজ প্রচারের দোহাই দিয়ে আমাকে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার ছলনা করে বিবিসি। আবার কখনও কখনও ছলনা করারও প্রয়োজনবোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। আমাকে সোজা জানিয়ে দিয়েছে, ‘আমরা দুঃখিত। আপনাকে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না’।
বিবিসির কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে চালাকরা আমাকে সবসময়ই নতুন নতুন কথা শুনিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- ‘বিবিসির অনুষ্ঠান পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা খুব চাইছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমার মতামত প্রকাশ হউক। কিন্তু আজকে সম্ভব নয়। আপনাকে শীঘ্রই আবারও আমন্ত্রণ জানান হবে’।
এর আগেও বিবিসি আমার সাথে একই আচরণ করেছে। কিন্তু আমি বুঝতে চাই, বিবিসি কেন এমন আচরণ করছে। আমার ধারণা বিবিসির অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন ধরণের সমন্বয় নাই। মনে প্রশ্ন জাগে, বিবিসি কি অনুষ্ঠানে অতিথি নির্ধারণের জন্য কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করে। সম্ভবতঃ করে। তারা কিছু কিছু ইস্যুতে এক ধরনের অতিথিদেরকে না আনতেই পছন্দ করেন।
বিবিসির মতো প্রথমসারির মিডিয়াগুলোও ইসরায়েল ইস্যুতে নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ফেলেছে। তাহলে, অন্যান্য পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর পরিস্থিতি কি?তাই,আপনি ইসরায়েলের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেলে, বিবিসির কোন ডাকে কখনই সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button