যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঈদ উদযাপন
ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েই ঈদ উল ফিতর উদযাপন করছে গাজাবাসী। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে ঈদের দিন এবং পরে কার্যকর ও নিঃশর্ত অস্ত্রবিরতি বজায় রাখার জন্য দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বলে বিবিসি-র অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে রবিবার জাতিসংঘ প্রস্তাবিত আরো ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয় গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস।
গতকাল রবিবার ইসরাইল সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সকাল থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। ইসরাইলি হামলার কয়েক ঘন্টা পরে ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলো হামাস।
হামাসের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটা থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও গাজায় হামাসের খোড়া সুড়ুঙ্গ ধ্বংস করতে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও বলেছিল। এতে যুদ্ধবিরতি মানার ক্ষেত্রে ইসরাইলের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
অবশ্য তার ওই ঘোষণার পরও ঈদের আগের রাতে তীব্র কোনো লড়াই বা হামলার খবর পাওয়া যায়নি।
গাজায় অভিযানের ব্যাপকতা আরো বাড়ানো হবে কিনা- সে বিষয়ে রবিবার মধ্যরাতে বৈঠকে বসে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। তবে ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলেও ঈদের কারণে দুপক্ষই আপাতত লড়াই বন্ধ রাখাকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় বাস্তুচ্যুত এক লাখ ৬৭ হাজার ২৬৯ জন ফিলিস্তিনি তাদের পরিচালিত স্কুল ও দপ্তরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
গত ৮ জুলাই শুরু হওয়া গাজায় ইসরাইলের প্রায় একতরফা বর্বর হামলায় ১ হাজার ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এ ছাড়া হামাসের ছোড়া রকেট হামলায় ইসরাইলের ৪৬ জন নিহত হয়েছে।