ইউরোপজুড়ে বাড়ছে ইহুদি-বিদ্বেষ

Europeগাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিক্ষোভের সূত্র ধরে ইউরোপজুড়েই বাড়ছে ইহুদিবিদ্বেষ। সম্প্রতি প্যারিসে ইহুদিদের একটি উপাসনালয় বা সিনাগগে হামলা চালানো হয়। সেখানে স্লোগান দেয়া হয়, ‘ইহুদিদের জন্য গ্যাস চেম্বার ( হিটলার যেভাবে ইহুদি নিধন করেছিল)।’ সার্সেলিসে স্লোগান ছিল-‘ইহুদিদের মৃত্যু হোক’ এবং এরপর একটি মার্কেটে লুটপাট চালানো হয়।
ইহুদিগোষ্ঠী বলছে, সম্প্রতি টুইটারে তাদের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত ‘ডার্টি জিউ’ বা নোংরা ইহুদি শব্দমালার ব্যবহার বেড়েছে।
বার্লিনেও ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে একই ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। বার্লিনের মসজিদের একজন ইমাম জায়নবাদী ইহুদিদের হত্যার কথা বলেছেন বলে বলা হচ্ছে।
এ ঘটনায়  বার্লিনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইয়াকভ হাদাস-হ্যান্ডেলসম্যান আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘তারা ১৯৩৮ সালের মত করে বার্লিনের রাস্তায় ইহুদিদের তাড়া করে ফিরতে চায়।
অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ‘ইহুদি বিদ্বেষী বাগাড়ম্বর এবং ইহুদিদের প্রতি বৈরিতা, ইহুদি ধর্মে বিশ্বাসী ও সিনাগগের ওপর আক্রমণের কোনো স্থান হবে না আমাদের সমাজে।’
ফ্রান্সে গাজার সমর্থনে আয়োজিত পাঁচটি বিক্ষোভ মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনুভ বলেছেন, ‘ইহুদি বিদ্বেষী সহিংসতাকারীদের হোতাদের ধরা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলেছেন, ‘ একজন ইহুদিকে যদি এ কারণে আক্রমণ করা হয় যে সে ইহুদি তাহলে সেটা ফ্রান্সের ওপরই আঘাত।’
তবে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর আগেই ফ্রান্সে ইহুদিবিদ্বেষ বৃদ্ধি পায়।  গত বছর প্রায় ৩,২০০ ইহুদি ফ্রান্স ছেড়ে ইসরাইলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত মে মাসে ব্রাসেলসের একটি ইহুদি জাদুঘরে বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়।
ইসরাইলের একজন সাবেক মন্ত্রী, নাটান শরনস্কি, বলেছেন, ‘আমরা ইউরোপে ইহুদিবাদের ইতিহাস সমাপ্তির সূচনা দেখছি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button