শীর্ষ ধনীদের অধিকাংশই এশিয়ার
বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ কত-এই নিয়ে বিশদ সমীক্ষা চালিয়েছে চীনের ‘হুরুন’ নামের একটি পত্রিকা। তাদের এই সমীক্ষায় দেখা গেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অধিকাংশই এশিয়ার দেশগুলোর নাগরিক। শুধু তাই নয়, সম্পদশালী মহাদেশ হিসেবে খ্যাত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার নাগরিকদের পেছনে ফেলে এশিয়ার অনেক গরীব দেশের নাগরিকরা দখল করে নিয়েছে ধনকুবেরের শীর্ষ তালিকা।
সম্প্রতি পত্রিকাটি জানিয়েছে বিশ্বের ১ হাজার ৪৫৩ জন শীর্ষ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ বিপুল। এসব ধনকুবেরের একেকজনের ন্যুনতম সম্পদের পরিমাণ অন্তত ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অনেকের সম্পদের পরিমাণ আরো বেশি। ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ আছে এমন ধনকুবেরের সংখ্যা এশিয়ায় ৬০৮ জন, ইউরোপে ৩২৪ জন এবং উত্তর আমেরিকায় ৪৪০ জন। ধনী লোকের সর্বাধিক সংখ্যা আমেরিকা ও চীনে।
এই দুটি দেশ কাছাকাছি অবস্থান করছে। আমেরিকায় ৪০৮ জন শীর্ষ ধনী আছেন। অন্যদিকে চীনে আছেন ৩১৭ জন। সংখ্যার বিচারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি, চতুর্থ স্থানে রাশিয়া ও এই ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান পঞ্চম। এই তিনটি দেশের মধ্যে অবশ্য বেশি সম্পদের মালিক ভারতের ধনীদের। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ভারতেরও নাগরিক এমন ধনীর সংখ্যা ভারতেই বেশি।
হুরুন আরো জানায়, বিশ্বের ধনকুবেরদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার যা জাপানের বার্ষিক বাজেটের সমান।
পত্রিকাটি বলছে প্রতি বছর ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে ২২ থেকে ২০ শতাংশ হারে। রিয়েল এস্টেট, যোগাযোগ, রিটেইলড, ফ্যাশন, স্টিল, টেলিকম খাতগুলিতেই সম্পদ বেড়েছে বেশি।
হুরুন জানায় এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক মেক্সিকোর টেলিকম ব্যবসায়ী কার্লোস স্মিথ। ৭৩ বছর বয়েসী এই ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে গত বছরও কার্লোস বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ছিলেন। এর পরের স্থানেই রয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। তার সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। পরের স্থানটি রয়েছে স্পেনের বিখ্যাত ব্র্যান্ড জারার মালিক আমানিকো অর্তেগার। বিল গেটসও রয়েছেন শীর্ষ পাঁচের মধ্যে।