সংঘর্ষেই নিখোঁজ সৈন্যটি নিহত হয়েছে : ইসরাইল
অবশেষে হামাসের দাবিই স্বীকার করে ইসরাইল জানিয়েছে, তাদের নিখোঁজ সৈনিকটি সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছে। অথচ হামাস তাকে অপহরণ করেছে, এই দাবি করে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি বাতিল করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজাকে ধূলায় মিশিয়ে দেবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন। ব্যাপক হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ শ’ ছড়িয়ে গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী শনিবার জানায়, তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিন (২৩) শুক্রবার সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছে। তবে তার লাশ পাওয়া গেছে কি না তা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এর আগে শনিবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তারা গোল্ডিনকে খুঁজে বের করবেনই, এজন্য যত সময়ই লাগুক না কেন।
হামাসের রাজনৈতিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড স্বীকার করেছিল যে শুক্রবার থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতির এক ঘণ্টা আগে তাদের একটি দল ইসরাইলি বাহিনীর ওপর গুপ্তহামলা চালিয়েছিল। তবে এর পর থেকে ওই দলটির সাথে তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা সন্দেহ করেছিল, ওই হামলায় তাদের পুরো দলটি শেষ হয়ে গেছে। তখনই হয়তো গোল্ডিন নিহত হয়েছে। তারা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছি, তারা গোল্ডিনকে অপহরণ করেনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ১,৭১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯৮ জন শিশু, ২০৭ জন নারী এবং ৭৪ জন প্রবীণ ব্যক্তি। ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে ৬৪ জন। এছাড়া ইসরাইলের তিন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।