সংগ্রাম সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রুল

বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়া এবং সেই বক্তব্য প্রকাশ করায় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক, সংগ্রামের রংপুর প্রতিনিধি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইকরামুল হক দুলু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট আজিজুর রহমান সরকার রাঙ্গার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২০ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না সে মর্মে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
‘একাত্তর সালে আজহার নামে কোনো রাজাকার কমান্ডারের নাম শুনিনি’ এবং ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত রংপুর কারমাইকেল কলেজে আজহার নামে কোনো ছাত্র নেতা ছিলেন না’ শিরোনামে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইকরামুল হক দুলু এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান সরকার রাঙ্গার উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদন আজহারের পক্ষে ডকুমেন্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে গেলে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচার চলাকালীন সময়ে মামলা সম্পর্কে কোনো ধরনের মন্তব্য করা যায় না। এ মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কিন্তু ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তার পরের দিন ২৭ ডিসেম্বর। সুতরাং এ প্রতিবেদন আদালত প্রদশর্নী হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। বরং বিচার চলাকালীন সময়ে এ মামলা সম্পর্কে কেন তারা বক্তব্য দিয়েছে তার জন্য আমরা রুল ইস্যু করছি।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে তার একমাত্র সাফাই সাক্ষী আনোয়ারুল হকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
পরে জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষী আনোয়ারুল হক আসামি আজহারের শিক্ষগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এটিএম আহজার সাহেব ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন এবং ১৯৭৬ সালে বিএ (অনার্স) পাস করেন। সার্টিফিকেটের ফটোকপি ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শনী হিসেবে উপস্থাপন করেন আনোয়ারুল হক।
এদিকে, গত ১৩ জুলাই এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে গত বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে  তার বিরুদ্ধে গত বছর ১২ নভেম্বর ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button