তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় লঞ্চ ডুবি, ১৪ লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের নিকট পদ্মা নদীর মাঝে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা এ পর্যন্ত ১৪ লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ১০০ জনের বেশি যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উদ্ধার কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিতে নৌবাহিনী ১২ সদস্যের ডুবুরি দল, র্যাবের হেলিকপ্টার, দুই পস্নাটুন সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।
জানা যায়, লঞ্চটি আজ সোয়া ১০টার দিকে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় পিনাক-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি। সকাল ১১টার দিকে মাওয়া ঘাটের কাছে লৌহজং চ্যানেলে তীব্র স্রোতের কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তে (পানির পাক) আটকে গেলে লঞ্চটি নদীতে ডুবে যায়। মাওয়া নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মাসখানেক ধরে নদীতে তীব্র স্রোত বইছে। আর যেখানে লঞ্চটি ডুবেছে, সেখানে নদী অনেক গভীর। এর ফলে লঞ্চে আটকাপড়া যাত্রীরা লঞ্চ থেকে বের হতে পারলেও ঘূর্ণাবর্তে পড়ে অনেকেরই প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে র্যাবের একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়ে গেছে। এ ছাড়াও উদ্ধারকাজে অংশ নিতে র্যাবের দুই পস্নাটুন সদস্যও ইতোমধ্যে সেখানে রওয়ানা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্যের একটি দল মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় রওয়ানা হয়েছে। এর মধ্যে ডুবুরি ও ফার্স্ট এইডের সদস্যরা রয়েছেন।
বিআইডবিস্নউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা রনি জানিয়েছেন, লঞ্চটি উদ্ধারে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বাদল এবং মুন্সিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।