আরো ১৭ লাশ উদ্ধার : সন্ধান মেলেনি ডুবন্ত লঞ্চের
পদ্মাচরে শোকের মাতম
তিনদিন পরও সন্ধান মেলেনি পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটির। বিআইডাব্লিউটিএ, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডসহ কয়েকটি সংস্থার সর্বাধিক প্রযুক্তি সম্বলিত উদ্ধারকারী একাধিক জাহাজ দফায় দফায় উদ্ধার অভিযান চললেও বুধবার পর্যন্ত তা শণাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্ব পর্যন্ত স্ক্যান করেও লঞ্চের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না। এদিকে প্রিয়জন হারানো কান্না ভারি হয়ে উঠেছে পদ্মা চরের বাতাস। স্বজন হারানোদের চোখের জল পদ্মার পানির সাথে মিশে যেন একাকার হয়ে যাচ্ছে। অপেক্ষায় থাকা কেউ আর আশা করছেন না তার প্রিয়জন জীবিত ফিরে আসবে। তবে তাদের লাশ পেতেও যে এত অপেক্ষা করতে হবে সেটা ভাবতে পারেনি কেউ। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। দুর্ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও লঞ্চের অনুসন্ধান বা নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারকাজে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পদ্মাপাড়ে স্বজনদের ক্ষোভ আরো বেড়েই চলেছে। হতাশায় গ্রাস করছে তাদের। তাহলে কি লঞ্চটি উদ্ধার করা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে এমনটি ভাবতে শুরু করেছেন তারা।
এদিকে, লঞ্চ ডুবির পর থেকে আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লঞ্চটির সন্ধান না মিললেও এ সময় পর্যন্ত মোট ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হস্তান্তর হয়েছে সাতটি, অশনাক্ত রয়েছে ১০টি এবং প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজের সংখ্যা ১৩২ জন। এ ছাড়া লঞ্চডুবির সঙ্গে সঙ্গে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা বলছেন, এত দুর-দরান্ত এলাকায় ভেসে ওঠা লাশ গুলো সঠিক ভাবে সনাক্ত করা বা প্রিয়জনের কাছে পৌছানো কতটা সম্ভব হবে তা ভাবিয়ে তুলছে।
আরো ১১ লাশ লাশ উদ্ধার
এদিকে বুধবার ভেসে যাওয়া লৌহজংয়ের পদ্মা নদীর ভাটির দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ১১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে আগের দিনসহ মোট ১৩ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । বিকেলে পদ্মা নদীর মাওয়া এলাকা থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, উদ্ধারীদের জাহাজের আশপাশেই ওই লাশ দুটি ভেসে ওঠে।
ভোলা সংলগ্ন মেঘনার রামদাসপুর, কাঠিরমাথা এবং ভাংতির খাল এলাকা থেকে ৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা ও পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরা সবাই পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী বলে ধারনা করছে স্থানীয় প্রশাসন।এদের মধ্যে রামদাসপুর থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম সাইদুর রহমান ফাহাদ (২২)। তিনি তেজগাও কলেজের বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র। ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করে ঢাকায় ফিরছিলেন ফাহাদ। তার বাবার নাম লুতফুর রহমান। ফাহাদের পকেটে থাকা মোবাইল সিম থেকে আর আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফাহাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ভোলা সদর সার্কেল এএসপি রামানন্দ সরকার। অন্য তিনটি লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ার চরআত্রা পদ্মা নদী থেকে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম জান্নাতুল নাঈম লাকী (২২) বলে জানা গেছে। তিনি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করতো। তার বাবার নাম হাজী আব্দুল জব্বার সরদার। লাকীর বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ছাব্বিশপাড়া গ্রামে। নিহতের মামা ইলিয়াস মিয়া জানান, গত ১২ জুলাই লাকী ঈদ করার জন্য দেশে আসে। জাজিরার ছাব্বিশপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন শেষে শিবচরে তার খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। সোমবার দুই খালাতো বোন স্বর্না এবং হীরাসহ কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে পিনাক-৬ লঞ্চে উঠে ঢাকা যাচ্ছিল। তারা তিনজনই লঞ্চ ডুবির শিকার হয়। সোমবার হীরার লাশ উদ্ধার হয়। গতকাল লাকীর লাশ পাওয়া গেলেও স্বর্ণা নিখোঁজ রয়েছে।নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরা বেগম জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লাকীর মরাদেহ শিবচরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন স্বজনদের কাছে লাকীর মরদেহ হস্তান্তর করেন।
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদী থেকে গতকাল আরো ৩ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে গত দু’দিনে চাঁদপুরের মেঘনা থেকে ৫টি লাশ উদ্ধার করা হলো। চাঁদপুর জেলার হাইমচরে মেঘনার মাঝেরচরে এক নারী, বাংলাবাজার থেকে এক কিশোর ও সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরে মেঘনায় আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইমচরের মাঝেরচরে সকালে ভাসে এসেছে বোরকা পরিহত এক নারীর লাশ অন্যদিকে বাংলাবাজারের কাছে ২০/২১ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ ভেসে এসেছে। লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজরাজেশ্বরেও আরেকটি লাশ ভেসে আসার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়েছে। মৃতদেহ গুলো ডুবে যাওয়া লঞ্চের বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে হাইমচর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, এর আগে মঙ্গলবার হাইমচরের মেঘনার মাঝেরচর থেকে এক নারী ও এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিলো। এই নিয়ে মোট ৫টি লাশ চাঁদপুরের মেঘনা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উৎরাইল গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৮) ও মাদারীপুরের শিবচর গুয়াতলা এলাকার নুরুল হক মুহুরীরর বড় মেয়ে ও সিকদার মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী নুসরাত জাহান হীরার লাশ উদ্ধার করা হয় মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর এলাকা থেকে।
উদ্ধার তৎপরতা
পিনাক-৬ লঞ্চ উদ্ধারে চলছে সব ধরণের প্রচেষ্টা। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপরে (বিআরডব্লিউটিএ) হামজা, রুস্তম নির্ভীক, সন্ধানী, তিস্তা, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্নিশাসক ও অগ্নিবীণা, টাগ জাহাজে চলছিল অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। নৌ বাহিনীর ও বিআইডাব্লিউটিএ’র দুটি জাহাজে থাকা অত্যাধুনিক সাইড সোলার স্ক্যান মেশিন দিয়ে স্ক্যান করা হচ্ছে। পাশাপাশি টাগ জাহাজ গুলোর উভয় পাশে ২০ কেজি ওজনের ইট বেধে নদীতে ছেড়ে দিয়ে শণাক্তকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এছাড়া স্টীল ওয়ে রোপ দিয়েও ৪০০ ফুট দূরত্ব নিয়ে সুইপ করা হচ্ছে ডুবে যাওয়া লঞ্চ শণাক্তকরণের জন্য। এইসব প্রযুক্তি দিয়েও ডুবে যাওয়া লঞ্চের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আশা ছাড়ছেন না উদ্ধার সংশ্লিস্টরা। ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন গ্রুপের কমান্ডার উপ-পরিচালক এবিএম নুরুল হক বলেন, সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করি লঞ্চের সন্ধান পাওয়া যাবে। তিনি জানান, সারা রাত পালাক্রমে অনুসন্ধান কাজ চলেছে। রাতে কিছু সময় বিরত থাকার পর ভোর ৫টা থেকে পুনরায় তার এ টিম কাজ শুরু করেছে । তিনি বলেন, লঞ্চ না পাওয়া পর্যন্ত তারা এ অনুসন্ধার কাজ চালিয়ে যাবেন। বিকেলে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান তারা রাত ২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালান। এরপর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় সকাল ১০ টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। সাইড সোলার স্কেনিংসহ দেশীয় প্রযুক্তিতেও পদ্মা নদীর ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে লঞ্চ শণাক্ত কাজ করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি পলি মাটিতে চাপা পড়তে পারে অথবা স্রোতের টানে ভাটিতে অনেক দূরে চলে যেতে পারে। তবে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছিলেন, ডুবে যাওয়া এমভি পিনাক-৬ উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ জরিপ-১১ মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। যেটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাওয়ার পৌছার কথা ছিলো। অথচ বুধবারও সেটি পৌছেনি। তবে উদ্ধার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরিপ-১১ মাওয়ায় আসছে না। তার পরিবর্তে কান্ডারী-২ নামক অন্য একটি উদ্ধারকারী জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
স্বজনদের ক্ষোভ
পদ্মার পাড়ে স্বজনদের আহাজারি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী উদ্ধার কাজে কোন অগ্রগতি না পেয়ে নিখোঁজদের স্বজনেরা ব্যাক্তিগত ভাবে ট্রলার নিয়ে খুঁজে চলেছেন পদ্মার ভাটি এলাকা । কলা আর রুটি নিয়ে সকালেও একটি ট্রলারে ১০/১২জন স্বজন পদ্মার দিকে ছুটে যান। কিন্তু বিকেলে তারা ফিরে আসেন খালি হাতে। বাবা মুসা মিয়ার (৬০) খোঁজে আসা ছেলে মো:জসিমউদ্দিন জানান, লক্ষীপুর কমলনগর চর মার্টিন গ্রাম থেকে গত তিনদিন ধরে বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু বাবাকে পাচ্ছি না। ঘাটে নির্মাণ করা তথ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেও কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি বলেন, তিনদিন পার হলেও লঞ্চ কোথায় আছে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী যে জাহাজটি আসার কথা ছিলো সেটাও আসেনি। তাহলেকি বাবার লাশ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শেষ সময় বাবার মুখ খানাও দেখতো পাবো না। বলেই কেদে ফেললেন জসিম। লঞ্চ ট্রাজেডীতে নিখোঁজ মিজানুরের চাচা টেইলার মাস্টার মোতালেব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সবার সামনে লঞ্চটি ডুবে গেলো। তার কয়েক মিনিট পর থেকে স্থানীয় ভাবে যাত্রীদের উদ্ধার ও লঞ্চটি সনাক্ত করতে কাজ শুরু করে। এরপর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা অত্যাধুনিক প্রযক্তি ব্যবহার করছে। অথচ আজ ৩দিন অতিবাহিত হলেও লঞ্চের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ইচ্ছে করেই এরা লঞ্চ তুলছে না। তিনি বলেন, আমাদের সহায়তা বা দাফন-কাফনের টাকার দরকার নেই। আমাদের স্বজনদের ফিরিয়ে দেয়া হোক। তাতেই আমরা খুশি হবো। তিনি আরো বলেন , এত বড় নদী আর এত যাত্রী এখানে পারাপার হয় অথচ একটি উদ্ধারকারী জাহাজ থাকে না। দুর্ঘটনা ঘটার পর অন্য এলাকা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ আনতে হচ্ছে। মা আর দুই বোনকে হারিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রী আনোয়ার হোসেন অপু ক্ষোভের সাথে বলেন ,আমরা আর কিছইু চাই না। আমরা স্বজনের লাশ চাই । তিন দিন ধরে ঘাটে বসে আছি। তিনি বলেন, যদি সত্যিকারে উদ্ধার অভিযান চালানো হয় তাহলে কোন কথা নেই। কিন্তু যদি লোক দেখানো বা আইওয়াশ করার জন্য উদ্ধারের নামে দৌড়-ঝাপ করা হয় তাহলে আমাদের বলে দেয়া হোক লঞ্চ উদ্ধার করা হবে না। আপনারা চলে যান। বড় বড় দুর্ঘটনার লঞ্চ উদ্ধার হয় অথচ এই ছোট লঞ্চটি উদ্ধার করা যাচ্ছে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
বুধবার পর্যন্ত তথ্যকেন্দ্র অনুযায়ী ফরিদপুরের ২৫ জন, মাদারীপুরের ৪৯জন ,শরীয়তপুরের-২ জন, গোপালগঞ্জের ১৯,বরিশালের ৭,গাজীপুরের ২,নারায়ণগঞ্জের ৭,কুমিল্লার ৫, ঢাকার ১,ঝালকাঠির ৪,নরসিংদীর ১,নড়াইলের ১,বাগেরহাটের ২,চাঁদপুর ১,লক্ষীপুরের ৩ জনসহ মোট ১৩২জন নিখোঁজ যাত্রীদের তালিকা করেছে। এদের মধ্যে,পুরুষ ৪৯, মহিলা ৪৯ ও ৩৫জন শিশু রয়েছে। আগেরদিন নিখেঁ^াজের এ তালিকায় ছিল ১২৯ জন ।
উল্লেখ্য, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ২’শ ৫০ জনের অধিক যাত্রীবোঝাই করে মাওয়াঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মাওয়ার দেড়-কিলোমিটার দুরে পদ্মার ঘূর্ণায়ণ স্রোত ও ঢেউয়ের তোড়ে এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটি ডুবে যায়।